নির্বিঘ্ন হোক তাদের সফর
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
তিন দিনের ছুটিতে এবার হাজার হাজার পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সারা দেশ থেকে ছুটে আসে ভ্রমণপিপাসু মানুষ। এবারের ছুটিতে সি-বিচ কুয়াকাটায় আগমন ঘটে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের। পর্যটকরা সৈকতে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন। শুধু সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্টেই নয়, এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো শুঁটকি পল্লী, লেম্বুর চর, তিন নদীর মোহনা, ঝাউবন, লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতি ও রাখাইন মার্কেটেও। ব্যস্ত সময় পার করছেন হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, মার্কেটসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। প্রাণচাঞ্চল্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে পর্যটকদের কাছে খাবারের মূল্য ও হোটেল ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ বঙ্গের হোটেলগুলো বুকিং দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার শীত মৌসুমে গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ পর্যটক আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের ধারণা, বহুলালোচিত পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর্যটক অনেক বেড়ে গেছে। বহুমুখী এই সেতুর প্রভাবে সমৃদ্ধ হবে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প। প্রাকৃতিক রূপ-লাবণ্যে সেরা কুয়াকাটা সৈকত থেকে উপভোগ করা যায় বিরল দৃশ্য সূর্যোদয়। এ ছাড়া সূর্যাস্তের দৃশ্য তো আছেই। এ জন্য এই সৈকত নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ খুব বেশি।
লাল কাঁকড়ার চর, গঙ্গামতি, রাখাইন পল্লী, ফাতরার বন, শুঁটকি পল্লী ও চরবিজয়ের মতো অর্ধশত পর্যটন কেন্দ্র দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসেন কুয়াকাটায়। আগে বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে কুয়াকাটায় আসতেন সাগর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এখন অবস্থা বদলেছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি জানিয়েছে, এখানে তিন তারকা মানের তিন-চারটি হোটেলসহ বিভিন্ন মানের হোটেল ও রিসোর্ট আছে প্রায় দেড় শ’। এতে সর্বোচ্চ ১৫-২০ হাজার পর্যটকের আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। তাই এবার বাড়তি পর্যটকদের আবাসন সেবা দিতে তারা কমিউনিটি ট্যুরিজম চালু করার কথা ভাবছেন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পদ্মা সেতু কুয়াকাটার ভাগ্য খুলে দিয়েছে। কুয়াকাটাকে শতভাগ পর্যটনবান্ধব হিসেবে তুলে ধরতে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
কুয়াকাটার একাধিক খাবার হোটেল মালিক জানান, তাদের সমিতির আওতায় কুয়াকাটায় ২৫টি খাবার হোটেল রয়েছে। এ ছাড়া আছে অভিজাত তিন-চারটি রেস্তোরাঁ।
কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন ঝিনুক বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী জানান, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। তবে এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা। আমাদের বিক্রি আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে।’ ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সীমা আক্তার ও ফারুক বলেন, ‘কুয়াকাটার প্রকৃতির সাথে আমরা মিশে গেছি। বেশ আনন্দ উপভোগ করছি। তবে হোটেল ভাড়াটা বেশি মনে হয়েছে। হোটেলের রুম অন্য সময় দুই হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যায়। সেই রুম চার হাজার টাকায় নিতে হয়েছে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, ‘সরকারি তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনো পর্যটক কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে হয়রানির শিকার না হন।’ পাশাপাশি থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশও কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা