জনগণের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই
- ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ফোর লেন মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনটি সংস্কারের নামে প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ দিন পাথর বিছানো। ফলে পথচারী ও যান চলাচলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ ঘটছে। দেখে মনে হয়, এটি যেন পাথর বিছানো মহাসড়ক। যানবাহনের ঘর্ষণে ছিটকে পড়া পাথরে অনেকেই আহত হচ্ছেন। তবুও এসব দেখার কেউ নেই।
বিগত বর্ষার আগে থেকেই এই মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনটির ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশাল এলাকায় বেশ কয়েক জায়গার পিচ উঠে গিয়ে রাস্তা এবড়োখেবড়ো হয়ে পড়ে। সম্প্রতি যানবাহন চলাচলের জন্য মহাসড়কের সেসব জায়গা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ; সে মোতাবেক সরকারের সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) বেশ কিছু দিন আগেই ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ৮০০ মিটারজুড়ে রাস্তা ঢালাই করেছে। মেরামতের জন্য ময়মনসিংহের ভালুকার কাঁঠালি থেকে ত্রিশালের রায়মনি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থানে মহাসড়কে পিচ মেশানো পাথর বসানো হয়েছে। ডাবল বিটুমিনাস সারফেস ট্রিটমেন্ট (ডিবিএসটি) প্রক্রিয়ায় সড়ক মেরামতের জন্য পাথরগুলো বিছানো হয়েছে; কিন্তু গাড়ির চাকার ঘর্ষণে তা চার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে। তাই পাথর টুকরাগুলো পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত দ্রুত যানবাহন যাওয়ার সময়ে এই পাথর পথচারী লোকজনের গায়ে পড়ছে। ফলে অনেকেই এতে আহত হন। প্রধানত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাতায়াতকারী মোটরবাইক, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পোর যাত্রীরা এ কারণে প্রায়ই আহত হচ্ছেন। মহাসড়কের ভালুকা থানার মোড়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটার সময় ভালুকা পৌর এলাকার বাগড়াপাড়ার মোমেন আলীর ছেলে ও ম্যাট্রিক পরীক্ষার্থী শাওন ইসলাম ট্রাকের চাকার ঘষায় ছিটকে পড়া পাথরের আঘাতে মারা গেছে। তবুও কর্তৃপক্ষের হুঁশ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন দিয়ে প্রত্যেক দিনই ড্রামে পানিভর্তি, মাছবাহী বহু ট্রাক-লরি যাতায়াত করে থাকে। এতে মহাসড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড থেকে খিরু নদীর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তাটি পথচারী ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য। অবশ্য সড়কের কিছুটা ঢালাই সাময়িকভাবে পথচারীদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনে; কিন্তু সড়কের অন্যান্য ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য বহুদিন বিশাল এলাকার পাথরখণ্ড সে স্বস্তি হরণ করে নিয়েছে। এ দিকে মহাসড়কটি পার হতে গিয়ে, এমনকি পাশ দিয়ে হাঁটার সময়ও, সর্বদা সবাইকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে। কখন না জানি রাস্তার পাথর ছুটে এসে গায়ে পড়ে এবং এতে আহত হতে হয়। এ সড়কের একজন পথচারী জানিয়েছেন, পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসের চাকার ঘষায় পাথর ছুটে এসে তিনি গুরুতর আহত হন। পাথরটি মাথায় লাগলে হয়তো তিনি প্রাণ হারাতেন। আর গার্মেন্টের জনৈক কর্মীর বক্তব্য, তারা প্রতিদিন এ সড়কে হেঁটেই চলাচল করে থাকেন। তবে সর্বক্ষণ ভয়ে থাকেন পাথরের দরুন। তিনি বলেছেন, রাস্তাটি এত ঝুঁকিপূর্ণ যে, তা ফেলে রাখা ঠিক হয়নি। সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাষ্য, ডিবিএসটি পদ্ধতিতে সড়কে মেরামত করা হলে প্রথমে কিছু পাথর উঠে যায়। তাই শিগগিরই এর সুরাহা করা খুব জরুরি।
জনগণের এই দুর্গতি লাঘবের জন্য শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করছি। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা