দেখার কেউ নেই
- ১৮ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
সহযোগী একটি দৈনিকের নান্দাইল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, এই উপজেলার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অবৈধ দখলদারদের দাপট চরমে। গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীছাউনিগুলোতে সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থাই নেই। এ দিকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার যাত্রীসাধারণ। অবৈধ বা বেআইনি জবরদখল করায় যাত্রীছাউনিগুলো ইতোমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে।
জানা যায়, এখন নান্দাইলে সাধারণ যাত্রীদের রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে নান্দাইলের মুশুল্লিø স্কুল ও কলেজের সামনেই বাজার বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ না করায় তার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। দেয়ালের বহু ইট খুলে নেয়া হয়েছে। ছাউনিতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। যাত্রীছাউনির সামনেই রয়েছে ছোট ছোট টঙ দোকান। সেখানে চা-জুতা-পান-চুল কাটার দোকান আছে। ফলে স্কুল আর কলেজের শিক্ষার্থীসমেত সাধারণ যাত্রীদের রোদে পুড়তে হচ্ছে। কখনোবা তাদের ভিজতে হয় বৃষ্টিতে। অথচ বাসস্টপে যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ছাউনি নেই অথবা অকার্যকর। ফলে জনগণের দুর্গতি কেবল বাড়ছে। মহাসড়কের একটি ব্যস্ত স্থান নান্দাইল চৌরাস্তায় ও কানারামপুর স্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি নেই। এতে প্রধানত দূরপাল্লার যাত্রীদের সীমাহীন কষ্ট করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যানের প্রতীক্ষায়। বর্ষা মৌসুমে দোকানের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ সইতে হয়। নান্দাইল বাজার (পুরনো) স্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি পরিত্যক্ত। তা এখন মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের দখলে। কিছু দূরে কলেজে যাত্রীছাউনি থাকা সত্ত্বেও কোনো বাস সেখানে থামে না। অথচ উপজেলা পরিষদ ও ব্রিজের পাড়সহ যেখানে যাত্রীদের জন্য কোনো ছাউনি নেই, সেখানেও যানবাহন থামছে। স্থানীয় নতুন বাজার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সামনে যাত্রীছাউনির অর্ধেকই ব্যক্তিবিশেষের বেদখলে। সেখানে কাপড় ইস্ত্রি করা হয়। প্রায় ৩০ গজ দূরে স্পিড ব্রেকারের সামনে সড়কের গাড়িগুলো থামানো হচ্ছে। উপজেলার সবচেয়ে কর্মব্যস্ত বাসস্ট্যান্ড হচ্ছে স্থানীয় চৌরাস্তা। সেখান থেকে দেশের নানান স্থানে দূরপাল্লায় যাতায়াত করা হয়ে থাকে। তাই সেখানে বড় যাত্রীছাউনি থাকা জরুরি, যা নেই এখনো। প্রতাবশালীদের কবল থেকে সব ছাউনি উদ্ধার করা খুব আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা