২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
রেলস্টেশন ভবনে ফাটল

দুর্ঘটনার আগেই নজর দিন

-

বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলা অযত্নে পাবনার গুয়াখড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারসহ কয়েকটি বিল্ডিং অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। যেকোনো সময় এতে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে বলে সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকের চাটমোহর সংবাদদাতা জানান।
তিনি এক সচিত্র প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার গুয়াখড়া পুরনো একটি রেলস্টেশন। তবে এর প্রতি বহুদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষের নজরদারি নেই। কোনো কর্মকর্তা না থাকায় এটা একপ্রকার পরিত্যক্ত হয়ে থাকায় গরু-ছাগলসহ গবাদিপশু ও মানুষ এখানে থাকে। অথচ এখানে শতাধিক গাঁয়ের মানুষজন দেশের নানান রুটে যাতায়াত করে থাকেন। অপর দিকে এখানে কোনো রেলওয়ে প্লাটফর্মও নেই। এ স্টেশনটিতে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন থামে না। শুধু একটি লোকাল ট্রেন থামে। কিন্তু প্লাটফর্ম না থাকায় এর যাত্রীদের চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। প্রধানত বয়স্ক ও অসুস্থরা ট্রেনে এখানে ওঠানামা করতে পারে না। বরং নামার সময় তাদের অনেকেই পা ফসকে আহত হন। স্থানীয় লোকজন বলেন, এ রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কার করা খুবই দরকার। স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী জানান, কোনো রেলস্টেশনেই প্লাটফর্ম নেই। অথচ অনেক যাত্রী পাচ্ছেন এখানে। তদুপরি একটি লোকাল ব্যতীত ট্রেন থামছে না এ স্টেশনে। কমপক্ষে দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন এখানে থামা প্রয়োজন। এখানকার দোকানদারসহ ছোট ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘ট্রেন না থামলে যাত্রী আসবে না। যাত্রী না এলে আমরা ব্যবসা করব কিভাবে? ফলে সংসার চালাতে আমাদের কষ্ট হবে। এমনিতেই বাজারে সব নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্য। কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে আমাদের দুর্দশার দিকে কেউ তাকাবে না।’
আলোচ্য প্রতিবেদনের সাথে পত্রিকাটিতে যে দুটো ছবি রয়েছে, তাতে দেখা গেছে, গুয়াখড়া স্টেশনের ভবনের দেয়ালে ফাটল ছাড়াও এর প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে এবং ভবনটির দরজা-জানালা ভাঙাচোরা। ফলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটা বিচিত্র নয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এ দিকে নজর দেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ অন্যথায় বড় কোনো দুর্ঘটনা বা অঘটন ঘটলে এবং তাতে প্রাণহানি হলে দায়ী হবে কে?


আরো সংবাদ



premium cement