আমাদেরও সতর্কতা প্রয়োজন
- ০৪ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
বিশ্বে সর্বাধিক বায়ুদূষিত নগরীগুলোর মধ্যে নয়াদিল্লি, বেইজিং, তেহরান ও লাহোর উল্লেøখযোগ্য। এর মধ্যে নয়াদিল্লি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের রাজধানী, বেইজিং কমিউনিস্ট চীনের রাজধানী, তেহরান ইরানের রাজধানী এবং লাহোর পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান শহর ও জনবহুল প্রধান প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী। ভারতের সাথে পাকিস্তান ও চীনের ‘বাঘে মহিষে’ সম্পর্ক সত্ত্বেও বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে তারা অভিন্ন। এটি এক চমকপ্রদ ব্যাপার।
জাতীয় পত্রপত্রিকার সূত্রে জানা যায়, দিল্লির বায়ুদূষণ আবার বিপজ্জনক মাত্রায় উঠেছে। কয়েক দিন ধরে সেখানকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ুমানসূচক ৪০০ থেকে ৫০০-এর মধ্যে। এবার বায়ুদূষণ কমাতে নয়াদিল্লির প্রাদেশিক সরকার অর্থাৎ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আমআদমি পার্টি সরকার কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সর্ববিধ বাজি বিকিকিনি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলও মেলে সাথে সাথে। গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরই হিন্দুদের দীপাবলি উৎসবে দিল্লিতে দূষণ ছিল অনেক কম। তবে এ বিষয়ে স্বস্তি টেকেনি বেশি দিন। ভারত দেশটির রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিমাণ সব মহলে সৃষ্টি করল মহা উদ্বেগ। এদিকে, বাতাস দূষিত হওয়ার জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও দিল্লি রাজ্যে বা প্রদেশের ক্ষমতাসীন আমআদমি পার্টি বা এএপি পরস্পর দোষারোপে ব্যস্ত। দূষণের প্রতিবাদ করে আমআদমি পার্টির লোকজন সম্প্রতি দিল্লির গভর্নরের অফিস ভবনের সামনে বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে এ দূষণ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই; বরং তা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। হাওয়ার গতি এবং অভিমুখের ওপর বায়ুরদূষণ নির্ভরশীল। দিল্লিতে বাতাস যেভাবে প্রবাহিত হচ্ছে, তার দরুন দিল্লির ধূলি বের হতে পারছে না। হঠাৎ স্থানীয় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে গেছে। ফলে ধুলা বালুও অধিক। একই কারণে সেখানে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। তবে সংখ্যাগুরুদের উৎসব দীপাবলির দূষণ বাতাসকে আরো নিম্নমানের বানিয়েছে। ভারতের দিল্লি প্রদেশের পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এ নগরে ও আশপাশে সব বাড়ি নির্মাণ এবং ভাঙার কাজ বন্ধ থাকবে। অন্য দিকে, বিজ্ঞানীরা জানান, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৫০-এর কম হলেই উত্তম। এর ৫০-১০০ মানে ‘মোটামুটি’ ধরনের; ১০০ থেকে ২০০ ‘ক্ষতিকর’; ২০০ থেকে ৩০০ অর্থ, ‘মন্দ বাতাস’; ৩০০ থেকে ৪০০ বলতে বুঝায় ‘খুব খারাপ’; আর ৪০০ থেকে ৫০০ একিউআই অর্থ, এতে মানুষের নিঃশ্বাস নেয়া যায় না। নয়াদিল্লির বায়ুদূষণ বর্তমানে ৪০০-এর মতো। গত সোমবার সকালে দিল্লির পাঞ্জাবিবাগে একিউআই ছিল ৩৭৫; শাদিপুরে ৪০৬; ওয়াজিরপুরে ৪০৪; এনএসআই দ্বারকা এলাকাতে প্রায় ৪০০; অশোক বিহারে ৪০০; দিল্লি এয়ারপোর্টে ৩৫৫ ও দিল্লির নেহরু নগরে ৪০০ থেকে মাত্র ৩ কম। অর্থাৎ মোট মিলিয়ে ভারতের রাজধানী হলেও সেখানকার বাতাসের অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতিকর। স্থানীয় পরিবেশ বিশারদ দীপায়ন দে জানান,
“দূষণ এমন অব্যাহত থাকলে বাড়ি থেকে বের হলেই বিপদ ঘটতে পারে। কারণ তখন ফুসফুস ও গলা আক্রান্ত হবে।”
প্রতিবেশী ভারতের এমনতর পরিস্থিতি থেকে আমাদের বাংলাদেশেরও শিক্ষণীয় আছে। কেবল রাজধানী ঢাকাই নয়, গোটা দেশের বাতাস সবসময় নির্মল রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এটি সবাইকে যথাসাধ্য পালন করে যেতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা