জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন
- ০২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
সহযোগী এক দৈনিকের শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেখানে বিভিন্ন এলাকায় মৎস্য খামারে মাছের খাবার হিসেবে মুরগির বিষ্ঠা প্রয়োগ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান থাকলেও তা অবাধে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ দিকে দিন দিন অস্বাস্থ্যকর ও বিষাক্ত বিষ্ঠার প্রচলন বেড়েই চলেছে। আরো বিস্ময়ের বিষয়, তা করা হচ্ছে প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায়। আর এমন একটি বেআইনি কাজের প্রতিকারে কেউ এগিয়ে আসছে না।
জানা গেছে, মানুষের চলাচলের রাস্তার পাশে স্তূপ করে মুরগির বিষ্ঠা রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে উৎকট দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ। আশপাশের মানুষ নিরুপায় হয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। রাত হলেই বাতাসে ভয়াবহ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কোমলমতি শিশুরা রয়েছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। স্কুলে যাওয়ার পথে পড়ছে বিড়ম্বনায়। এমন দৃশ্যমান অপরাধ চললেও এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সুযোগে গড়ে উঠছে মুরগির বিষ্ঠার রমরমা ব্যবসা। চলছে মাছের খামারে অবাধ ব্যবহার। এতে মাছের প্রকৃত স্বাদ নষ্ট হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা। বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, খামারের মাছ মুরগির বিষ্ঠা খাওয়ার ফলে মানুষের পেটে চলে যাচ্ছে মুরগিতে ব্যবহৃত বহু উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক। ফলে মানুষের শরীরে সৃষ্টি হচ্ছে ওষুধ রেজিস্টেন্স। এতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন অঞ্চলের মুরগির খামার থেকে স্বল্পমূল্যে বিষ্ঠা কিনে মাছের খামারিদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে। পরে সে বিষ্ঠাগুলো নিজেদের মাছের খামারে ব্যবহার করছেন মৎস্য খামারিরা। এতে এক দিকে মানুষের মাঝে রোগব্যাধি বাড়ছে অপর দিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে দিনের পর দিন। অনেকসময় রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে দুর্গন্ধের জ্বালায়। এমন পরিস্থিতিতেও উপজেলা মৎস্য অফিস কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ সুযোগে নির্ভয়ে বিষ্ঠার ব্যবহার বেড়েই চলছে। অপর দিকে পরিবেশ অধিদফতরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় পরিবেশ নষ্ট হয়ে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চরমে। মৎস্য অফিস বলছে, এটা দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদফতরের। আর বিষ্ঠা ব্যবহারে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। মাছের স্বাদ ও খাদ্যগুণ নষ্ট হচ্ছে। জলাশয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে মাছ চাষে বিষ্ঠা ব্যবহারের ফলে। এতে মাছের রোগব্যাধি বেড়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি সচেতনতার অভাবে মানুষ মাছের খামারে মুরগির বিষ্ঠা ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। মাছের খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির অজুহাতে বিষ্ঠার ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছেন মাছচাষিরা।
শ্রীপুরের ইউএনও বলেন, এমন অভিযোগ প্রায় আসে আমাদের কাছে। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েও এ নিয়ে কথা হয়। এ ব্যাপারে মৎস্য আইনে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় খুব বেশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। এ নিয়ে আমাদের মৎস্য কর্মকর্তা ও পরিবেশ বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা