আজো কেন সুরাহা হয়নি?
- ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
নয়া দিগন্তের ফেনী অফিস জানিয়েছে, এখনো কমপক্ষে দু’ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ এখানে চলছে ভাড়া করা বাড়িতে। সরকারি নতুন কোনো দফতর এখানে এলেও কার্যালয়ের জন্য নতুন কোনো সরকারি ভবন না থাকায় ও লোকবল সঙ্কটসহ বিভিন্ন কারণে বহু প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাজ ঢিমেতালে চলছে। জেলা সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ সত্ত্বেও স্থানাভাবে সেটিও সরকারের স্থাপত্য অধিদফতরে ফাইলবন্দী হয়ে আছে।
আলোচ্য প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেনী জেলা সদরে মোট ৬৫টি দফতর থাকলেও এর প্রায় অর্ধেকেরই নিজস্ব অফিস নেই। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমন্বিত ভবন তৈরি করার জন্য এই জেলা প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ জন্য ২৪টি কার্যালয়ের তালিকা তৈরি করে কয়েকটি বৈঠকও হয়ে গেছে। ফেনী জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবিত সমন্বিত অফিস ভবনের জন্য ১০ তলা নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তখন নিজস্ব কার্যালয় না থাকা সরকারি দফতরগুলোর কাজ চলবে সেখানে। এখানে নিজস্ব অফিস নেই- ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জেলা তথ্য অফিস, সমাজসেবা অফিস, ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের অফিস, পরিবেশ অধিদফতর, প্রতিবন্ধী সাহায্য কেন্দ্র, সমবায় অফিস, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল, আমার বাড়ি আমার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, পরিসংখ্যান কার্যালয়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, উপকর কমিশনারের কার্যালয়, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ), মহিলা-বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বা এনএসআই, মন্দিরভিত্তিক শিশু কার্যালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বা বিআরডিবি, জেলা বিপণন অফিস, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও জেলা মহিলা সংস্থার। সরকারের কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের স্থানীয় সহকারী পরিচালক মিহির কান্তি খীসা এ ব্যাপারে জানালেন, ‘ফেনী শহরের মহিপাল মিয়াজি বাড়ি রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে তাদের কাজ চালাতে হচ্ছে। এ জন্য প্রতি মাসে অনেক টাকা ভাড়া দিতে হয়। সমন্বিত অফিস ভবন তৈরি হলে সেবাগ্রহীতারা আরো সহজে সেবা পাবেন।’ জানা গেছে, এ জেলায় সমন্বিত অফিস ভবনের জন্য দু’বছর আগেই উদ্যোগ নেয়া হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালে ফেনীতে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে সে উদ্যোগ আজো বাস্তবায়ন করা হয়নি। দেওয়ানগঞ্জে সমন্বিত অফিস ভবন তৈরির জন্য ৪৮ শতক জায়গা নির্বাচন করা হলেও গত ২৪ আগস্ট ঢাকায় স্থাপত্য অধিদফতর এক বৈঠকে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। এ দিকে এখন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কাজ শুরু করতে নেমে অফিস পাচ্ছে না। সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতায় এটি। এ জন্য খুলনা থেকে উপ মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী শরিফ আহমদ ফেনী বদলি হয়েছেন। তার এ অফিসে ১৪টি পদ থাকলেও মাত্র চারজনকে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি ছাড়া অন্য তিনজন ইন্সপেক্টর।
এত দিনেও এতগুলো সরকারি অফিসের নিজস্ব ভবন না থাকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের প্রত্যাশা, খুব শিগগিরই এর উপযুক্ত সুরাহা করা হবে। অন্যথায়, জনগণ কাক্সিক্ষত সেবা পাবে না এসব দফতর থেকে। ফলে তাদের দুর্ভোগ বাড়বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা