অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত চাই
- ৩১ আগস্ট ২০২২, ০০:০৫
সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকের বদলগাছী (নওগাঁ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, উপজেলার বালুভরা ইউপিতে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের খাদ্যসহায়তা কর্মসূচির (ভিজিডি) চাল বিতরণে সরকারের নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনপূর্বক, কার্ডধারী উপকারভোগীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং চালের চটের বস্তা রেখে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাল দেয়ার সময় সংশ্লিøষ্ট উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা বেআইনি। নওগাঁ জেলায় বদলগাছীর ৮ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এটি হওয়ার কথা জানা যায়।
আলোচ্য প্রতিবেদনে উল্লেøখ করা হয়, সরেজমিন গত ২৪ আগস্ট বুধবার দেখা গেছে, ভিজিডির চাল বিতরণকালে এই অতিরিক্ত টাকা আনোয়ার নামে এক গ্রামপুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরূপে আদায় করছিলেন। তবে চেয়ারম্যান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সারা দিন ভিজিডির চাল বণ্টন করা হয়। এই ইউনিয়নে মোট ১৮৬ জন ভিজিডি উপকারভোগীর কার্ড আছে। তাদের প্রত্যেকের জন্য ৩০ কেজি করে চটের বস্তায় প্যাকেট করা চাল বরাদ্দ থাকলেও প্রত্যেকের প্রাপ্য চটের বস্তা রেখে দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। সংশ্লিøষ্ট এই উপকারভোগীরা ভিজিডির কার্ড দিয়ে চাল নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চাল বিতরণের রুমের সামনে বসা গ্রামপুলিশ আনোয়ারকে ২০ টাকা করে দিয়ে টিপসই দিয়েছেন। এরপর ৩০ কেজি চটের বস্তার চাল উপকারভোগীদের আনা বস্তায় ঢেলে দেয়া হয়। ইউপি চত্বর গেটেই অনেকে ওই চাল বেচে দিয়েছেন কিছু লোকের কাছে। প্রতি বস্তা চাল এসব ব্যবসায়ীর কাছে এক হাজার ১২০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অপর দিকে, অনিয়ম করে প্রতি ভিজিডি কার্ডে ২০ টাকা নেয়া এবং উপকারভোগীদের চটের তৈরি বস্তা না দেয়া ও তা রেখে দেয়ার জন্য অভিযোগ উঠেছে খোদ সরকারি প্রশাসনের ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করলেন সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা।
বদলগাছী উপজেলার একজন উপকারভোগীরূপে ইউনিয়ন পরিষদে এসেছেন রুমি আক্তার। তার কথা, ‘আগে চাল নেয়ার সময় নেয়া হতো মাথাপিছু ১৫ টাকা করে। এখন নেয় ২০ টাকা করে আর চালের সাথে থাকা বস্তাও দেয়া হয় না।’ আরেক উপকারভোগী মহিলা বলেছেন, ‘ভিজিডিতে যে চাল দেয়া হয়, তা খাওয়ার মতো নয়। তাই তা বেচে দিতে হচ্ছে। এক হাজার ১২০ টাকায় ৩০ কেজি বিক্রি করতে হয়েছে।’ গ্রামপুলিশ আনোয়ার বলেছেন, ‘এ চাল এখানে আনার ব্যয় নির্বাহের জন্য টাকা নিতে ও বস্তা রাখতে হচ্ছে। বালুভরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন এ টাকা তুলতে।’ আর ট্যাগ অফিসার বললেন, ‘বস্তাগুলো রেখে দিতে। উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ায় সমস্যা হবে, তবে বস্তা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই- এটিই আইডিয়া।’ তবে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ট্যাগ কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘আমি থাকার সময়ে বস্তা খুলে চাল দেয়া হয়নি। টাকার ব্যাপারে জানা নেই।’ চেয়ারম্যান বলেন, উপকারভোগীর টাকা দেয়ার নিয়ম নেই। বস্তা রেখে দিয়ে চাল বিতরণের নিউজ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব করা যাবে না।’ বদলগাছী উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা এবং ইউএনওকে পাওয়া যায়নি। তারা উভয়েই ফোন ধরেননি।
এ অনিয়মের ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিষয়ে অবিলম্বে উপযুক্ত তদন্ত করা উচিত বলে ভুক্তভোগীরা অভিমত দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা