২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নতুন সড়কেও জলাবদ্ধতা

জনদুর্ভোগ দূর করুন

-

একটি সহযোগী দৈনিকের বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধির পাঠানো একটি খবর, কাঁচা রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য মাটি কেটে ইট-সুরকি দিয়ে আগের চেয়ে বেশি উঁচু ও পাশের সড়কের সমান উঁচু করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। বরং আগের রাস্তার চেয়ে দেড় ফুট নিচু করে নতুন রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। ফলে এটি তলিয়ে থাকছে পানিতে। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। এমন দৃশ্য পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দাসপাড়ার নরের সড়ক থেকে শাহজাহান সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার।
স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের টেন্ডারে সড়কটি নির্মাণের কাজ পায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ২৪৫ টাকার চুক্তিমূল্যে তাদের ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়েছিল। তবে কাজ করলেন আরেকজন, যার নাম সুধীর নন্দী। তিনি স্থানীয় লোক ও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের সদস্য। সরেজমিন দেখা গেছে, নরের সড়কের শাখা এই নতুন রাস্তা। এর বেশির ভাগই পানিতে ডুবে আছে। ম্যাকাডাম বা ইটের বড় খোয়া দেয়া হয়েছে। তবে তা অত্যন্ত নিচু মানের। এরপর কার্পেটিং করার কথা এখানে। এই সড়কের বেশির ভাগই নরের সড়ক, এমনকি এলাকার বাড়ির আঙ্গিনা থেকেও দেড় ফুটের মতো নিচু। তাই বৃষ্টিতে নতুন সড়কটি তলিয়ে যায়। লোকজন জানান, কাঁচা রাস্তার আমলেও রাস্তাটি ডুবে যেত না। এখন রাস্তা ডোবায় অর্ধশত শিক্ষার্থীসহ অর্ধসহস্র মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, মাটি সঠিকভাবে কাটা হয়নি। ব্যবহৃত খোয়াও মানসম্মত নয়। রোলার করা হয়েছে নামেমাত্র। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিকের কথা, ‘এটি আমারই করার কথা; কিন্তু স্থানীয় এমপির (ক্ষমতাসীন দলের) ফোনে অন্যকে কাজ দিতে বলায় তার সম্মানার্থে অন্যরা কাজটি করছেন। অনিয়মের দায় আমার। তবে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে জানান।’ এ দিকে সুধীর বাবু ফোন ধরেননি কিংবা খুদে বার্তায় সাড়া দেননি। কর্তৃপক্ষ বলছেন, ‘নতুন রাস্তার নিচু জায়গা উঁচু করতে বলা হয়েছে। নিচু করার কথা নয়। এ ব্যাপারে দরকার হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে কবে পদক্ষেপ নেয়া হবে, বলা হয়নি। রাস্তাটির দরুন ব্যাপক জনদুর্ভোগ ঘটছে। তা নিরসনে আশু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অন্যথায় সমস্যা আরো বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement