কর্তৃপক্ষ যেন ঘুমিয়ে না থাকে
- ১৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০৫
‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রুট পারমিট ছাড়াই চলছে বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহন। ক’টির রুট পারমিট আছে এবং ক’টির নেই, সেই কথাটিও জানাতে পারেনি বিআরটিএ কিংবা হাইওয়ে পুলিশ। বিভিন্ন কোম্পানির নাম দিয়ে এসব যানবাহন মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং দিন দিন এগুলোর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রুট পারমিটবিহীন অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও প্রতিযোগিতামূলক চলাচলের কারণে অহরহই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এটি হলো নয়া দিগন্তের ঘিওর (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতার পাঠানো এক রিপোর্টের সূচনা অনুচ্ছেদ। এই প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও গুলিস্তান থেকে বিভিন্ন নামে মানিকগঞ্জ ও পাটুরিয়া পর্যন্ত যানবাহন চলছে। এর মধ্যে গাবতলী থেকে পাটুরিয়া রুটে ২১৬টি সেলফি পরিবহন, ৩২টি দ্রুতগতি পদ্মা পরিবহন ও ৩০টি যাত্রীসেবা পরিবহনের ব্যানারের বাস চলাচল করে। চিটাগাং রোড-পাটুরিয়া রুটে চলে নীলাচল পরিবহনের ৭০টি গাড়ি। গুলিস্তান থেকে মানিকগঞ্জ ও পাটুরিয়া পর্যন্ত ৬০টি শুভযাত্রা এবং ১২টি এসি লিংক চলছে। পাটুরিয়া থেকে সাভারের নবীনগর পর্যন্ত চলছে ১৫টি উনিশে পরিবহন। মানিকগঞ্জ জেলায় অভ্যন্তরীণ আঞ্চলিক সড়কে চলছে স্বপ্ন পরিবহনের ২০০ গাড়ি। এসব গাড়ির মধ্যে রুট পারমিট আছে সেলফি ৬৫টির, নীলাচল ৭০টি এবং শুভযাত্রা ৬০টির। বাকি কোনো যাত্রীবাহী যানেরই পারমিট নেই। তারা মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতি, হাইওয়ে থানা ও ট্রাফিক পুলিশ ‘ম্যানেজ’ করে চলছে। অবশ্য, মাঝে মধ্যে তাদের মামলার আসামি হতে হয়।
মানিকগঞ্জ বিআরটিএর একজন ইন্সপেক্টর জানান, পারমিটহীন যানবাহনের সঠিক তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে রুট পারমিট না থাকলে মামলা দায়ের করা হয়। স্থানীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি স্বীকার করেছেন, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া রুটে যেসব যাত্রীবাহী গণপরিবহন চলছে, তাদের বেশির ভাগের কোনো রুটি পারমিট নেই। সেলফি পরিবহনের এমডি জানালেন, তাদের মালিকানাধীন, গাবতলী থেকে পাটুরিয়াগামী ১৭০টি গাড়ির মধ্যে মাত্র ৬৫টির রুট পারমিট রয়েছে। নীলাচলের কর্তৃপক্ষ বলেন, তাদের রুট পারমিট রয়েছে ৭০টি যানের। পদ্মা পরিবহনের ৩২টি যান চলাচল করলেও তারা জানাতে পারলেন না, ক’টি গাড়ির পারমিট রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ জানায়, অভিযানকালে যদি দেখা যায়, গাড়ির রুট পারমিট নেই, তখন মামলা দায়ের করা হয়। মানিকগঞ্জের ডিসির কথা হলো, রুটি পারমিট ছাড়া কোনো যাত্রীবাহী যান চলতে পারার কথা নয়, ভ্রাম্যমাণ আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিআরটিএকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে জানা যায়, কোন কোম্পানির মোট ক’টা গাড়ি আছে এবং ক’টার পারমিট আছে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসন এ ব্যাপারে ঘুমিয়ে না থেকে সজাগ হবে যথারীতি, এ কামনা আমাদের সবার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা