বগুড়ার কৃষকদের স্বস্তি দিন
- ০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
এবার আমন মৌসুমের প্রথম থেকেই বগুড়ার মতো দেশের অনেক স্থানে রাসায়নিক সারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। নয়া দিগন্তের বগুড়া অফিস আরো জানায়, এটি সংশ্লিষ্ট অসাধু সিন্ডিকেটের কাজ। এ অবস্থায় চাষিরা দিশেহারা। প্রশাসন সারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
বগুড়া জেলায় সর্বত্র অসৎ সিন্ডিকেটের দরুন সারের দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে। ফলে আমনের ভরা মৌসুমেও কৃষকদের দিশেহারা হতে হচ্ছে। খোলাবাজারে সারের এহেন মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তাই রসিদ ছাড়া ইচ্ছামতো সারের দাম নেয়া হচ্ছে। যেমন- নন্দীগ্রাম উপজেলায় সব স্থানে আমন রোপণ শুরু হয়ে গেছে। এ সুযোগে কিছু অসৎ ব্যবসায়ী সার সঙ্কটের অজুহাতে অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন। ফলে কৃষক সার কিনতে গিয়ে বিষম সমস্যার সম্মুখীন। হাটবাজারে সরকারি দামের প্রতি বুড়ো আঙুুল দেখিয়ে চড়া মূল্যে রাসায়নিক সার বিক্রি করা হচ্ছে। ইউরিয়া প্রতি বস্তা সরকারিভাবে ৮০০ টাকা বিক্রি করার কথা; কিন্তু বাজারে তা ৮৭০-৮৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টিএসপি বিক্রির কথা এক হাজার ১০০ টাকায়; কিন্তু তা বেচা হচ্ছে এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকায়। এমওপি বিক্রি দর ৭৫০ টাকা; কিন্তু বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৫০ টাকায়। ডিএপি সার বিক্রির দর ৮০০ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে। নন্দীগ্রামে সরকারিভাবে সার ডিলার আছেন বিসিআইসির ১৩ জন, বিএডিসির ২৩ জন। তারা সার পেয়েও তা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইতঃপূর্বে বোরো ধান বিনষ্ট হওয়ায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর এখন আমনের মৌসুমে অধিক দামে সার কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে কৃষকদের চড়া সুদে ঋণ নিয়ে আমন ধানের চাষ করতে হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, দোকানিরা সারের বেশি দাম নিলেও কোনো রসিদ দেন না। বেশির ভাগ দোকানে সারের মূল্যতালিকাও নেই। তাই বোঝা যায় না, কোন সারের আসলে দাম কত। মাত্র এক বস্তা সারেই এক থেকে দুই শ’ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখানে কেউ সারের দাম বেশি নিচ্ছে না। নিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কাহালুতেও সারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেখানে ইউরিয়া সারের দাম বাড়ানোর সাথে সাথে প্রতি বস্তা সার (৫০ কেজি) বিক্রি করা হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা থেকে আরো বেশি দরে। অথচ এর আগে একই ইউরিয়া সারের দাম ছিল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এ দিকে, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বগুড়ায় অন্যান্য সারের দামও বাড়ানো হয়েছে এবার।
একজন সার ডিলার দাবি করলেন, ‘রাসায়নিক সারের সঙ্কট নেই।’ তবে দাম বাড়ায় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অপর দিকে, বগুড়ার সোনাতলায় খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি সার ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবুও কৃষি দফতর তদারকি করছে না বলে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষ বেশি মূল্যে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে। কয়েকজন কৃষকের অভিযোগ, ডিলার ও খুচরা দোকানিরা লোক দেখানোর জন্য মূল্যতালিকা টাঙ্গিয়েছেন। অথচ সেখানে কেউ সে দামে সার বিক্রি করছেন না। প্রতি কেজি টিএসপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ও প্রতি কেজি এমওপি সার ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘নিয়মিত’ বাজার তদারকি চলছে। ধুনটে সারের কৃত্রিম সঙ্কট সত্ত্বেও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেই বলে জানা যায়, তবে কর্মকর্তাদের দাবি, ‘সারের কৃত্রিম সঙ্কট হয়েছে বলে মনে হয় না।’ সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ তারা বলছেন না। সারের বাজার নিয়মিত মনিটরিং করে বগুড়ার কৃষকদের স্বস্তি দেয়া হবে বলে আমরা আশা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা