২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
হোগলা পাতার ফুলের রেণু

বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হোক

-

একটি সহযোগী দৈনিক জানায়, বহুল পরিচিত হোগলা গাছের পুষ্পরেণুও অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা প্রচুর। বিশেষত বরিশালে হোগলারেণু বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন গ্রাম-গঞ্জের অনেক কৃষক। সঠিক প্রযুক্তি পেলে কেবল হোগলা পাতা নয়, হোগলারেণুও বাণিজ্যিক সাফল্য পেতে পারে।
জেলা কৃষি বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, হোগলার শুধু পাতাই মূল্যবান নয়, খাদ্য হিসেবেও এর গুঁড়া বেশ সুস্বাদু। এটি খাদ্যের মূল উপাদান হতে পারে বৈকি।
হোগলা ক্ষেতে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে ফুল হয়। এর ফুলে সুমিষ্ট ও সুগন্ধি এক প্রকার গুঁড়া পাওয়া যায় যা এই অঞ্চলে হোগলার গুঁড়া বা রেণু নামে পরিচিত। এই হোগলার গুঁড়া গ্রামবাংলার মানুষের মন জয় করেছে অনেক আগে থেকেই। তবে এখন শহরের রান্নাঘরে বহু সমাদৃত ও উপাদেয় খাদ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এই গুঁড়া দিয়ে প্রধানত বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানো হয়। এই গাছে কোনো রোগ বা পোকামাকড় আক্রমণ করে না। এই রেণু বা গুঁড়া বর্তমানে কৃষকরা বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চরাঞ্চলের আনাচে কানাচে স্যাঁতসেঁতে ভেজা কিংবা খাল-ডোবায় এক ধরনের লম্বা সবুজ পাতা হয় যা হোগল বা হোগলা পাতা হিসেবেই পরিচিত। এই পাতা দিয়ে ঘরের চাল তৈরি করা হয়। হোগলা গ্রামীণ পরিবেশে জন্মানো একটি বিশেষ উদ্ভিদ, অঞ্চলভেদে এটি হোগলা, হোগল, ধাড়িপাতাÑ এসব নামে পরিচিত। বরিশাল অঞ্চলে এমনো অনেক পরিবার বা চাষি আছেন যারা কেবল শুধু হোগলা চাষ করে জীবন-জীবিকা চালান। অনেক সময় এগুলো নিজেদের জমিতে চাষ না করে নদীর ধারে যেখানে মালিকানাবিহীন জমি আছে, সেখানে চারা লাগিয়ে পাতা কেটে বাজারে বিক্রি করেন। কেউ কেউ নিজেদের অনুর্বর জমিতেও এর চাষ করেন। তবে এখন সুন্দরবনের একটি উল্লেখযোগ্য এলাকাসহ নতুন নতুন জেগে ওঠা চরকে রক্ষা করার জন্য হোগলা গাছ বন বিভাগই লাগিয়ে থাকে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গ্রামীণ কৃষক মো: খলিলুর রহমান ও মিজানুর হাওলাদার জানান, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের হোগল গাছের ফুল থেকে রেণু বা গুঁড়া সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন তারা। বাজারে প্রতি কেজি হোগলের গুঁড়া প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রথমে গুঁড়া কেটে কাগজে বা পরিষ্কার কাপড়ে এক-দু’দিন শুকাতে হয়। এরপর পরিষ্কার পাতিলে বা গামলার মুখে অতি পাতলা কাপড় বেঁধে গুঁড়া দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকাতে হয়। কেউ কেউ গুঁড়া হালকা আগুনে ভেজে নেন। তখন খুব সুঘ্রাণ বের হয়। শুকানো গুঁড়া বায়ুরোধী পাত্রে এক বছর পর্যন্ত রেখে দেয়া যায়। প্রতিটি ফুলের মঞ্জুরি থেকে প্রায় ৫০ গ্রাম গুঁড়া পাওয়া যায়। তারা আরো বলেন, হোগলার ৮০-১০০টি ফুল থেকে এক থেকে সোয়া কেজি গুঁড়া পাওয়া যায়। এক একর জমি থেকে বছরে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকার গুঁড়া সংগ্রহ করা হয়। এ গুঁড়া থেকে মিষ্টান্ন, ফিরনি, পোলাও, হালুয়া, পায়েস, সন্দেশ, পিঠাপুলি, নাড়–, বিস্কুট ও কেক তৈরি করা হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো: হারুন-অর-রশীদ জানান, হোগলা পাতার ফুল থেকে তৈরি করা হোগলা গুঁড়ার পুষ্টিগুণ প্রচুর ও সুস্বাদু হওয়ায় এলাকায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে। সাধারণত হোগলার জমিতে কোনো ধরনের সারের প্রয়োজন হয় না। এই হোগলা পাতার মাদুর দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা আশা করি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
টেকনাফে ২ লাখ ৪৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনজীবী আলিফের জানাজায় হাসনাত-সারজিস জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা : খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে আবারো রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল শিল্পপতির বাড়িতে ডাকাতি : ৭ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ২৪ ঘণ্টায়ও মহাসড়ক ছাড়েনি ডিইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা

সকল