২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্দশা

প্রশাসনকে নজর দিতে হবে

-

ঢাকা-সিলেট রেলপথের পর এবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হালচাল জানা যাচ্ছে। নয়া দিগন্তের সরাইল (বি.বাড়িয়া) সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এই মহাসড়কে পিচ ঢালাইয়ে ত্রুটি থাকায় একটু বৃষ্টিতেই তৈরি হয় মরণফাঁদ। তখন পিচ্ছিল সড়কে জন ও যানের ভোগান্তি অবর্ণনীয়। এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে।
জানা গেছে, এই সদাব্যস্ত মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জের মাধবপুর পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার অংশে গত দুই মাসে সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার এবং ত্রুটিযুক্ত পিচ ঢালাইয়ের দরুন সামান্য বর্ষণেই রাস্তাটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। দেশের অন্যতম প্রধান মহাসড়কের এ অংশ ঘুরে এলাকাবাসী, পরিবহন মালিক-শ্রমিক (চালকসহ) এবং হাইওয়ে পুলিশ থেকে জানা গেছে, সরকারের সড়ক বিভাগ ঈদুল ফিতরের আগে এই মহাসড়ক মেরামত করেছিল; কিন্তু বর্তমানে বর্ষা চলছে। মাঝে মাঝে রোদ থাকে প্রখর ও তীব্র। তখন সড়কে পিচ গলে যায় এবং পরে বৃষ্টি হওয়ামাত্র পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এর ফলে চলমান বাস-ট্রাকসহ যানবাহনের ব্রেক ধরা যায় না ঠিকভাবে। তখন ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। তদুপরি, মহাসড়কে নেই নির্দিষ্ট স্থানের রোডসাইন, সাবধানতামূলক চিহ্ন কিংবা প্রয়োজনীয় তথ্যাদি। ফলে বেশি দুর্ঘটনায় পড়তে হয় অপরিচিত বা বাইরের গাড়িকে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বি.বাড়িয়ার সরাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়াকান্দি ও বৈশামুড়া এবং বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী, শ্বশই, ইসলামপুর ও বীরপাশায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণহানি ছাড়াও মানুষের জান ও মালের বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়কের পাশের এক বাসিন্দা জানান, ‘মহাসড়কটির নানা স্থানে পিচ গলে সড়কের দুই পাশে উঁচুনিচু হয়ে গেছে। বর্ষণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। তাই অবিলম্বে সড়ক সংস্কার করাই সময়ের দাবি।’
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি বলেছেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আশুগঞ্জ থেকে মাধবপুরে গত এপ্রিলে দুর্ঘটনা সাতটি হলেও পরের মাসেই তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। রোদে পিচ গলে যায় আর বৃষ্টিতে হয়ে পড়ে পিচ্ছিল। এর দরুন গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হয় ব্রেক ঠিকমতো কাজ করে না বলে। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে জানানো হয়েছে। তাই আমরা আশাবাদী যে, এ ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আমরা মনে করি, দ্রুত কর্তৃপক্ষ এ দিকে মনোযোগ না দিলে মানুষের মৃত্যু ও যানবাহনের দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement