কর্তৃপক্ষের সতর্কতা প্রয়োজন
- ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০
নয়া দিগন্তের বেড়া (পাবনা) সংবাদদাতার খবর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার নগরবাড়ী নৌবন্দর এলাকায় আমদানিকৃত প্রচুর সার একেবারে খোলা জায়গায় স্তূপীকৃতভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। মাসকে মাস বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে এবং শুকিয়ে জমাট বেঁধে যাওয়ায় এর মান নিয়ে সন্দেহ জেগেছে। ওজনেও বস্তাপ্রতি কয়েক কেজি কম হচ্ছে। তদুপরি সারের ঝাঁজালো গন্ধে বায়ুদূষণের অভিযোগ এসেছে।
জানা যায়, দেশী আমদানিকারকদের দ্বারা বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) চীন, মিসর, সৌদি আরব, তিউনিসিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে ইউরিয়া, এমওপি, টিএসপি এবং ডিএপি সার এনে থাকে। এরপর পরিবহন কোম্পানির মাধ্যমে এ সার বাংলাদেশের উত্তরাংশে বাফার গুদামে পৌঁছে দেয়া হয়। সমুদ্রপথে বড় জাহাজে সার আনা হলেও এ সার লাইটারেজ অর্থাৎ ছোট ছোট জাহাজে করে নৌপথে নদীবন্দর বাঘাবাড়ী ও নগরবাড়ীতে আনা হয়ে থাকে। সার এ দুটো বন্দর থেকে সড়কযোগে উত্তরাঞ্চলে ১৪টি বাফার গুদামে পাঠানো হয়। বন্দরের ট্্রান্সপোর্ট এজেন্ট এবং বাঘাবাড়ী গোডাউন সূত্রে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গে বাঘাবাড়ী, বগুড়া, সান্তাহার, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, লালমনিরহাট, মহেন্দ্রনগর, দিনাজপুর, পার্বতীপুর, চারঘাট, ঠাকুরগাঁও, বিরামপুর ও গাইবান্ধায় বাফার গোডাউনগুলো অবস্থিত। গত বছরের সার দিয়েই গুদাম ভর্তি। ফলে এখন যত সারই আসুক না কেন, তা খোলা জায়গায় পড়ে থাকছে। অপর দিকে চট্টগ্রাম থেকে আগত সার বোঝাই জাহাজগুলো প্রতিদিনই বাঘাবাড়ী ও নগরবাড়ী এসে নোঙর করছে। বহু জাহাজ আছে সার জাহাজ থেকে আনলোড করার অপেক্ষায়। নিয়ম হলো, জাহাজ থেকে সার নামিয়ে ট্রাকে বাফার গুদামে পাঠানো হয়। অথচ গুদামে বর্তমানে সার রাখার জন্য কোনো জায়গাই নেই। তাই এ সার মাসের পর মাস ধরে ‘নদীবন্দরে’ই পড়ে আছে। বাঘাবাড়ী ঘাটের কার্গো জাহাজের চালক বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে আট হাজার বস্তা সার নিয়ে এসে দু’দিনেও আনলোড করতে পারিনি।’ সার ডিলাররা বলছেন, ‘অনেক দিন যাবৎ খোলা স্থানে পড়ে থাকা কম ওজনের জমাট বাঁধা সার কৃষকরা নিতে চায় না। তারা দেশী সারেই বেশি আগ্রহী।’ নগরবাড়ী নৌবন্দরের লোড-আনলোড শ্রমিক সর্দার বলেন, ‘এখানে বাফার গুদাম নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। এ কারণে জাহাজের সার নামিয়ে খোলা জায়গায় রাখতে হয়েছে।’ বেড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, দীর্ঘ দিন খোলা জায়গায় রাখলে সারের কার্যকারিতা কিছু হ্রাস পায়। একটি সূত্রে জানা গেছে, চীনের সারের গুণগতমান এমনিতেই কম। এটা সরবরাহে কিছু আমদানিকারক এবং গুদাম কর্মকর্তারা জড়িত। বাঘাবাড়ী গুদামের একজন কর্মকর্তা জানান, আর্দ্রতার দরুন ইউরিয়া সার জমে গেলেও এর গুণ প্রায় অক্ষুণœ থাকে। তবে খোলা জায়গায় একবার ভিজে এবং তারপর শুকিয়ে সারের বস্তা ওজনে কিছু কমে যায়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবে বলে আমরা আশা করছি। অন্যথায় বিপুল পরিমাণ সারের অপচয় হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা