২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গো-খাদ্য সঙ্কটে খামারিরা

অবিলম্বে দূর করুন

-

বড় নদ-নদী হয়ে এখন ছোট নদ-নদীতেও বন্যার পানি বাড়ছে। পানির প্রবল স্রোতে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতারা স্লুইস গেট সংলগ্ন রিংবাঁধ ভেঙে চলনবিলে পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ, এই তিন জেলার আটটি উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর ফসলের মাঠ ও গোচারণ ভূমি প্লাবিত। এর দরুন বিশেষত খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। এমনিতেই গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। ফলে তারা খাচ্ছেন হিমশিম। তদুপরি গোচারণ ভূমি বন্যাকবলিত হওয়ায় তারা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের সম্মুখীন। একটি সহযোগী জাতীয় দৈনিক এ খবর দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলায় সাত হাজার গবাদি খামার আছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ, অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৭০ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু বিক্রির কাজ শুরু হতে যাচ্ছে; কিন্তু এখন কাঁচা ঘাসের ঘাটতি তাদের ফেলেছে বিরাট এক বিপদে। রাউতারার কয়েকজন এ বিষয়ে জানালেন, কয়েক দিনে এখানে করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগরসহ সব নদীতে বান ডেকেছে। বন্যার পানি বাড়ছে হু হু করে। ফলে অস্থায়ী বাঁধ পানির চাপে দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ছে। এতে পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নাটোর- এ তিনটি জেলার অন্তত আট উপজেলার বিস্তীর্ণ স্থান বন্যাকবলিত। এর মধ্যে ফসলের আবাদি জমি ও গোচারণ ভূমি দুটোই আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর অঞ্চলের তিনি হাজার হেক্টর গোচারণ ভূমি বন্যায় ডুবে গেছে। এতে গবাদিপশুগুলো উঁচু স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছে কিংবা মালিকদের বাড়িতে উঠেছে। ঘাসের জমিগুলো বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের অভাব ব্যাপক। তা ছাড়া তিল, কাউন, বাদাম, ভুট্টা, শাকসবজির ক্ষতিও অনেক। আর নেপিয়ার ঘাসের ক্ষতির কথা বলা বাহুল্য। গ্রামের রাস্তাঘাট অনেকাংশ পানির নিচে। তাই লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ ঘটছে। শাহজাদপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার বলেছেন, ‘গোচারণ ভূমি প্লাবিত হওয়ায় প্রধানত গো-খামারিরা সঙ্কটে পড়েছেন। বাজারে গবাদিপশুর খাবারের দামও অনেক। এ বিষয়ে উপরে জানানো হয়েছে।’ সরকার সহযোগিতা করলে তা খামারিরা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশের প্রধান দুগ্ধ উৎপাদন এলাকাই শুধু নয়, কোরবানির ঈদের আগে এ ধরনের খবর অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এমনিতেই বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যের। তদুপরি এখন বন্যার দরুন পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ জরুরি। অন্যথায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যাবে না। আমাদের প্রত্যাশা, গো-খাদ্য সঙ্কট থেকে দেশের খামারিরা অবিলম্বে সম্পূর্ণ মুক্ত হবেন সরকারের সহায়তায়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবী হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার ৬ : প্রেস উইং ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের রেকর্ড সংগ্রহ স্ত্রী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন দুই হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সোলাইমান ৭ দিনের রিমান্ডে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে চলবে জাহাজ বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির দুর্নীতি মামলা থেকে খালেদা জিয়ার অব্যাহতি শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পেশাজীবী পরিষদের শ্রদ্ধা আইনজীবী সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টসহ সকল বারে বিক্ষোভ সমাবেশ পানছড়ি হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা সুন্দরবনে কার্গোর ধাক্কায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ ১ আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার বন্ধ করল ভারত

সকল