২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু

উঠে আসুক জনসংখ্যার নির্ভুল তথ্য

-

মঙ্গলবার মধ্যরাত বা শূন্য মুহূর্ত থেকে ভাসমান নাগরিক গণনার মধ্য দিয়ে দেশে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। ১৫-২১ জুন দেশব্যাপী জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার দেশে অবস্থানরত দেশী নাগরিকের পাশাপাশি বিদেশী ও প্রবাসীদেরও গণনার আওতায় আনা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে কেউ গণনা থেকে বাদ পড়েন তাহলে ২১ জুনের পর যোগাযোগ করলে তার তথ্য যুক্ত করা হবে।
জাতিসঙ্ঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি দেশ বা সীমানাবেষ্টিত অঞ্চলের সব ব্যক্তির জনতাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক তথ্য সংগ্রহ, সঙ্কলন ও প্রকাশের সার্বিক প্রক্রিয়াই হলো জনশুমারি। জনশুমারি ও গৃহগণনার মূল উদ্দেশ্য হলো- দেশের প্রতিটি খানা ও খানার সদস্যদের গণনা করে মোট জনসংখ্যার হিসাব নিরূপণ করা, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা, জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা, সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া ইত্যাদি।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম ১৯৭৪ সালে আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে প্রতি ১০ বছর পরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার। আইন অনুসারে ১০ বছর পরপর জনশুমারি করার কথা থাকলেও ষষ্ঠ জনশুমারি নির্দিষ্ট সময়ে হয়নি করোনা মহামারীর কারণে। তবে এর আগে ২০১৬ সালে জনসংখ্যার যে প্রাক্কলন করা হয়, তাতে এ সংখ্যা ১৬ কোটি ৬২ লাখ জনে এসে দাঁড়ায়। এ দিকে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ধরলে দেশে বর্তমানে ১৮ কোটির বেশি মানুষ বাস করছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ধারণা, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমপক্ষে ২০ কোটি।

প্রতি বছর দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। সরকারি তথ্য মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রতি ১০ বছরে গড়ে প্রায় দুই কোটি করে বেড়েছে। সাথে বাড়ছে ঘরবাড়িও। পরিবর্তন আসছে খাদ্যাভ্যাসসহ নানা কিছুতে। তাই নিয়মিত আদমশুমারি না হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকল্পনা নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন- খাদ্যপণ্যের চাহিদা ও উৎপাদনের সঠিক তথ্য যদি হাতে না থাকে, তাহলে আমদানির পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়। এ জন্য তথ্যের সঠিকতা নির্ণয়ে আদমশুমারির গুরুত্ব অপরিসীম। জনশুমারি যথাযথভাবে নির্ধারিত সময়ে হলে প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। আশার কথা, এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুমারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিধায় সঠিক তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি আশাবাদী আমরা।
মনে রাখা আবশ্যক, নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব- শুমারিকর্মীরা যখন ঘরে ঘরে যাবেন, তখন তাদের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিতে হবে। যেসব মানুষ চর, হাওর বা উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে কিংবা ভ্রাম্যমাণ, তাদের তথ্য সংগ্রহেও কর্মীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবেই যাতে কেউ বাদ না পড়ে, সে ব্যাপারে শুমারিকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রচার ভালোমতো না হলে কাক্সিক্ষত সাফল্য অর্জন সম্ভব না-ও হতে পাবে।
জনশুমারির মাধ্যমে সঠিক জনসংখ্যার তথ্য পাওয়া গেলে জনগণের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সমাধান করা সহজতর হয়। জানতে পারা যায় পরিবার, নারী-পুরুষ, শিশু, বিভিন্ন পেশা, শিক্ষা, আয়সহ গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য। জনশুমারির মাধ্যমেই জনতাত্ত্বিক এসব বৈশিষ্ট্য নিরূপণসহ দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, নীতিনির্ধারণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই জনশুমারির তাৎপর্য উপলব্ধি করে আমাদের উচিত এই কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করা, যাতে ষষ্ঠ জনশুমারি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত : হামাস অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী ঢাকা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সাম্প্রতিক ঘটনায় উদ্বিগ্ন মির্জা ফখরুল

সকল