ঈদবাজারে নেতিবাচক প্রভাব
- ২১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
আজ পবিত্র রমজানের ১৯ রোজা। ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ১০ দিন। কিন্তু দেশের বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা এখনো কম। ঈদ ঘিরে ব্যবসার এমন ভরা মৌসুমে এতটা ক্রেতা সঙ্কট আগে দেখা যায়নি। করোনার আগে রমজানের এই সময়ে ঈদসামগ্রী বিশেষ করে পোশাক, জুতা ও অলঙ্কারের দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকত; কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। ক্রেতার অভাবে দোকানিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। ক্রেতা যা-ও বা আসছে; প্রত্যাশার তুলনায় তা অনেক কম। নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
করোনাকালে গত দুই বছর ব্যবসায় ভালো না থাকায় এবার ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা একটু বেশি ছিল; কিন্তু দিন দিন সব কিছুর দাম বাড়ছে। অন্য দিকে বেশির ভাগ মানুষের আয় কমেছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতা কমছে। শুধু নিত্যপণ্য নয়, কাপড় তৈরির সুতাসহ মালামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাপড়ের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে অর্থসঙ্কটের কারণেই মানুষ কেনাকাটা কম করছে। শুধু শপিংমলেই নয়, ফুটপাথেও ক্রেতা স্বল্পতা লক্ষণীয়। অথচ করোনার আগে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফুটপাথে ক্রেতার ভিড়ে পা ফেলা দায় ছিল।
মহামারীর আগে স্বাভাবিক সময়ে ঈদ ঘিরে যে বেচা-বিক্রি হতো বর্তমান সময়ে তার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। মানুষের ঈদ কেনাকাটার চেয়ে দৈনন্দিন খরচের প্রয়োজন বেশি। ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকায় মানুষের জন্য ঈদ শপিংয়ের বাজেট সঙ্কুলান কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেকে ঈদবাজারে আসতে পারছে না। গত দুই বছর করোনায় মানুষ যে পরিমাণ আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে তা কাটিয়ে না উঠতেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষ বিপাকে পড়েছে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যয় সঙ্কোচন নীতি অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে। বাস্তবে তাদের টিকে থাকাই এখন দায়।
করোনা-উত্তর এবার ঈদ-বাণিজ্য জমে ওঠার বিষয়ে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আশাবাদী ছিল; কিন্তু দিন যতই গড়াচ্ছে আশা ঝাপসা হয়ে আসছে। দেখা দিচ্ছে হতাশা। এমিনতেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে স্পষ্ট। ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। সেখানে মানুষজন নিত্যপণ্যও কিনতে পারছে না। আমাদের দেশেও নিত্যপণের দাম গত কয়েক মাস ধরে অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই বাড়তি দামে প্রভাব রেখেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
পরিস্থিতি এমন যে, মুষ্টিমেয় লোকজন ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষ সংসারের নিত্যব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরের বিপণিবিতানে ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতা স্বল্পতা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে। এ কারণে ঈদবাজারে পোশাক, জুতা, অলঙ্কার, প্রসাধনসহ অন্যান্য জিনিস বেচাকেনা তেমন একটা হচ্ছে না। ঈদের খাবার প্রস্তুতে যেসব খাদ্যপণ্য ব্যাপকভাবে বিক্রি হয়, সেগুলোও কম বেচাকেনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর হাতে প্রয়োজনীয় টাকা নেই। ফলে আয়-ব্যয়ের সঙ্কুলান কঠিন হয়ে উঠেছে তাদের। এ কারণে ঈদবাজারে ক্রেতা কমে গেছে। বাস্তবে সাধারণ মানুষের টিকে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। সেখানে ঈদ উৎসব পালনে কেনাকাটা বর্তমানে সাধারণ মানুষের জন্য বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা