২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
আল আকসায় ইসরাইলি হামলা

ফিলিস্তিনিদের জন্য কোনো প্রতিকার নেই

-

ফিলিস্তিনিদের ওপর আগের মতোই ইসরাইলি বাহিনীর অত্যাচার নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর আগের মতো প্রতিবাদ বিক্ষোভ কিংবা দৃষ্টি নেই। এমনকি মুসলিম বিশ্বও অনেকটাই বিমুখ হয়ে রয়েছে। বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এখন অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে। আগের সঙ্কটগুলো থেকে দৃষ্টি সরে গিয়ে নতুন নতুন বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে বিশ্ববাসীর। যদিও আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে বিশ্বমোড়লরা দাঁড়ায়নি। আন্তর্জাতিক আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে ইসরাইল সামরিক অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করে নতুন নতুন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছে। তাদের নিপীড়নের অন্যতম একটা জায়গা হচ্ছে মসজিদুল আকসায় হামলা। ঘুরে ফিরে তারা এ মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায়। এবারো রোজার মধ্যে তারা নির্দয় হামলা চালিয়েছে মসজিদটির মুসল্লিদের ওপর।
খবরে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মসজিদটিতে অবস্থান করছিলেন বেশ কয়েক শ’ মুসল্লি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইসলাইলি বাহিনী তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেছে। তারা মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। বৃদ্ধদের নির্দয়ভাবে ছুড়ে ফেলে দিতে দেখা যায় এ সময়। ইসরাইলিদের হামলায় ১৫৮ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন নিত্যকার ঘটনা। এ ধরনের হামলা ফিলিস্তিনিদের কাছে স্বাভাবিক। এর মধ্যেই তাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে। কারণ তাদের জন্য নিরাপদে বাঁচার অধিকার স্বীকৃতি পায়নি। এ জন্য মুহুর্মুহু টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও সাউন্ড গ্রেনেডের ভয়াবহ উচ্চ শব্দের মধ্যে তারা নির্বিকার মসজিদে অবস্থান করেছেন। অর্থাৎ বৈরী একটা অবস্থার মধ্যে বেঁচে থাকাই তাদের পরিণতি। ভিডিওতে দেখা যায় মুসল্লিরা টিয়ার শেলের তীব্র ধোঁয়ার মধ্যে ধৈর্য প্রদর্শন করছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ পাথর ছুড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এমন প্রতিরোধ প্রকৃতপক্ষে ইসরাইলি বাহিনীর উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের বিপরীতে কোনো কাজে আসে না। তার পরও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এ প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মকাণ্ড তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই প্রতিবাদকে ইসরাইলিরা নিপীড়ন চালানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
সম্প্রতি এক ফিলিস্তিনি তরুণের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান। তার আগে থেকেই ইসরাইল বাহিনী কথিত ফিলিস্তিনি ‘অস্ত্রধারীদের’ বিরুদ্ধে পশ্চিম তীরে অভিযান চালাচ্ছিল। ধারাবাহিক ওই সব হামলায় ২০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। পুলিশের বিরুদ্ধে হামলার জের ধরে শেষ পর্যন্ত মসজিদুল আকসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর আগেও রোজার মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীকে এ মসজিদে একই ধরনের হামলা চালাতে দেখা গেছে।
উপাসনালয়ে হামলা একটি স্পর্শকাতর ব্যাপার। পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের ঘটনা সহ্য করা হয় না। একে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন ঘটনা ঘটলে তোলপাড় হয়ে যায়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো হইচই করে। সাধারণত এর হোতাদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার হয়ে থাকে। অথচ ইসরাইল বছরের পর বছর অব্যাহতভাবে একই অপরাধ করে আসছে। অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসছে না। অত্যাচার নিপীড়নের শিকার ফিলিস্তিনিরা পাচ্ছেন না কোনো প্রতিকার। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, মুসলমান আজ নির্যাতিত এক জাতির নাম। পৃথিবীর নানা প্রান্তে তারা বঞ্চনা ও উৎখাতের শিকার হচ্ছেন। তাদের জন্য মানবতা আজ সাড়া দেয় না। আরো বড় বিষয় হচ্ছে খোদ মুসলমান শাসকরা তাদের পক্ষে দাঁড়ান না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আইনজীবী হত্যায় উত্তাল চট্টগ্রাম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ড. ইউনূস বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বিভক্ত না হতে মাহাথিরের আহ্বান ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর তিন মাস পার হলেই সব ঋণ খেলাপি মিয়ানমারের জেনারেল মিন অংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইলেন আইসিসির প্রসিকিউটর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া কিছু মানুষ জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন : ফখরুল আইনজীবীর হত্যাকারী ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ শুভ কান্তি দাস কে? এশিয়া ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস অ্যাওয়ার্ড পেল অধিকার চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতি দেয়া অনধিকার চর্চা : উপদেষ্টা নাহিদ

সকল