২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
‘পাগলীর ছড়া’ খাল ফেনীর দুঃখ

অবিলম্বে সুরাহা করতে হবে

-

বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানের নাম ফেনী। এটি ক্রম প্রসারমান জেলা শহর তো বটেই; তদুপরি দেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও রেলপথের উপর অবস্থিত। রাজধানী ও বন্দর নগরীর সংযোজক, ফেনীর গুরুত্ব বেড়েছে অনতিদূরে বঙ্গবন্ধুর নামে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প এলাকা গড়ে উঠছে বলে। তা ছাড়া দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্পটি ফেনী জেলার একাংশে অবস্থিত। অথচ এমন একটি বড় শহরের প্রাণপ্রবাহতুল্য খালটি দখল-দূষণে ভাগাড়ও মৃত প্রায়। প্রশ্ন হলো, ‘পাগলীর ছড়া’ নামে পরিচিত এ খালের কারণে দুর্গতির কি শেষ হবে না মানুষের? আর কতদিন এ অবস্থা চলবে?
খালটি শহরের রামপুর এলাকা থেকে বারাহিপুরের দিকে প্রবাহিত হতো; কিন্তু এখন ফেনীর এই ঐতিহ্য নিছক ময়লার ভাগাড়। ফেনী শহরের বিরাট অংশের জন্য এটি পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমরূপে ছিল অতীব গুরুত্ববহ। বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনার সাথে বাজারের ময়লা যোগ হয়েছে। অর্থাৎ গৃহস্থালি আবর্জনা ও বাণিজ্যিক আবর্জনা দুটোই এখালে নিয়মিত পতিত হয়ে পরিবেশের মারাত্মক দূষণের কারণ হয়ে উঠেছে। নয়া দিগন্তের ফেনী অফিসের পাঠানো প্রতিবেদনে এই খাল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মানুষ সহজে বাজারের দিকে যাওয়ার সুবিধার্থে পাগলীর ছড়ার উপর দিয়ে একটি সেতু তৈরি করা হলেও তা খালের ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধের দরুন অকেজো হয়ে গেছে। অথচ বিপুল অর্থ ব্যয়ে এ সেতু নির্মিত হয়েছিল। আবর্জনায় ভরাট হয়ে খালটি স্থবির ও দুর্গন্ধময় হয়ে পড়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। খালটির বিরাট অংশে বক্স কালভার্ট তৈরি করায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এতে খাল সরু হয়ে গেছে এবং ময়লা- আবর্জনায় খালটি ভরে গেছে। তদুপরি, ফেনী শহরে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বর্ষণেই পানি জমে ডুবে যায় রাস্তাঘাট, লোকালয় জনপদ। অথচ আগে এ সমস্যা ছিল না এখানে।
অবিলম্বে ‘পাগলীর ছড়া’ খালকে দখল দূষণমুক্ত করা, তথা উপযুক্ত সংস্কার করাই সময়ের দাবি। এ জন্য খালটির ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সবার কর্তব্য।


আরো সংবাদ



premium cement