এক্সপ্রেসওয়েতেও বিশৃঙ্খলা
- ০৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০
আমাদের সড়কপথের চরম বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে যত কম কথা বলা যায়; ততই ভালো। কারণ, এ দেশে সড়কপথের অবস্থা বাংলা সেই প্রবাদের মতো- ‘সারা অঙ্গে ব্যথা ওষুধ দেবো কোথা’। এ জন্য প্রায় প্রতিদিনই বহু মানুষের প্রাণ ঝরছে সড়কে। অবস্থা এমন হয়েছে যে, যাদের এসব দেখার কথা তাদের যেন গা সওয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। অথচ সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের দাবিতে দেশে কিশোর শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে সংসদে নতুন সড়ক আইন পাস করা হয়। কিন্তু কিছুতেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। সাথে সাথে হতাহতের সংখ্যাও বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, যাত্রী পরিবহনকারী যানবাহনের চালকদের কোনো নিয়মনীতি না মেনে গাড়ি চালানো। এমন অরাজক অবস্থা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়েতেও বিদ্যমান।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কয়েকটি অত্যাধুনিক বাসস্ট্যান্ড ব্যবহৃত হচ্ছে না। অব্যবহৃত পড়ে আছে। নির্ধারিত বাস স্টপেজে না থামিয়ে যেখানে খুশি সেখানে যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়। এ অবস্থা চললেও হাইওয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই। এসব বাসস্ট্যান্ড নির্মাণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। অথচ যাত্রীবাহী গাড়ির চালকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো যত্রতত্র বাস থামানোর কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে প্রায় সময়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
নয়া দিগন্তের শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতার পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ছনবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে দু’পাশের বাসস্ট্যান্ড দু’টিতে একটিও বাস থামেনি। দেখা গেছে, ঢাকা থেকে মাওয়াগামী বাসগুলো নির্ধারিত এ বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৩০০ গজ উত্তরে ফ্লাইওভারের উত্তর পাশের মাথায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার মাওয়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলো একই স্থানের উল্টো পাশ থেকে যাত্রী তুলে নিচ্ছে। বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডের চিত্রও ছিল অনুরূপ। একটি বাসও নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ডে থামেনি। ঢাকা থেকে মাওয়াগামী বাসগুলো থামছে নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৪০০ গজ দক্ষিণে। মাওয়া থেকে ঢাকাগামী বাসগুলোও বিপরীত পাশ থেকে যাত্রী তুলে নিচ্ছে। গত ২ মার্চ বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একই চিত্র দেখা যায় হাঁসাড়া বাজার স্ট্যান্ডে।
এ দৃশ্য দেখে দেখে এ পথে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ এবং এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কী কারণে এসব বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে? এগুলোর উপযোগিতাই বা কী তা-ও তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। সবার জানা, যানজটমুক্তভাবে দ্রুততার সাথে গন্তব্যে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু চলাচলকারী গাড়িগুলো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। যাত্রীসাধারণ এবং এলাকাবাসীর মতো আমাদেরও প্রত্যাশা, এই এক্সপ্রেসওয়েতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন নির্মিত আধুনিক বাসস্ট্যান্ডগুলো যথাযথভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য এই এক্সপ্রেসওয়েতে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশকে তৎপর হতে হবে। কঠোরভাবে সড়ক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কেবল তখনই সম্ভব যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে; তার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা