২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব

এখনই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিন

-

রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ করে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। ক্ষুদ্র এ কীটের অত্যাচারে মানুষের পক্ষে ঘরে-বাইরে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। বর্তমানে রাজধানীর ময়লা পানিতে কিউলেক্স মশার জন্ম হচ্ছে। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু হয়। আর কিউলেক্স মশার কারণে ফাইলেরিয়া হয়ে থাকে। তবে আগে দেশের উত্তরাঞ্চলে ফাইলেরিয়ার প্রকোপ দেখা গেলেও রাজধানীতে কখনো এ রোগ ছড়ানোর নজির নেই। তারপরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা।
নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে মশার প্রকোপ বেড়েছে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মশারি টাঙিয়ে রক্ষা পেলেও অন্য সময় বসে কোনো কাজ করার সময়, এমনকি হাঁটাচলা করলেও মশার অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে মশা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সিটি করপোরেশনের দাবি, রাজধানীতে এখনো মশার উপদ্রব তেমন বাড়েনি।
এ সময় রাজধানীতে মশা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, দেশে এখন চলছে মধ্য ফাল্গুন। শীত শেষে শুরু হয়েছে গরম পড়া। বিগত সময়ে শীতের পর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এবার শীত থেকে হঠাৎ করে গরম পড়া শুরু হয়েছে। ফলে বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেছে। বৃষ্টির পরিমাণও কম। এতে মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে, চলতি মাসে মশার উপদ্রব আরো বাড়তে পারে।
বাস্তবে রাজধানী ঢাকায় বিগত কয়েক দশক ধরে কখনোই মশারি ছাড়া ঘুমানোর কথা চিন্তা করা যায় না। কখনো কিছুটা উপদ্রব কমলেও আবার ক’দিন না যেতেই একই অবস্থা হয়। সিটি করপোরেশন মাঝে মধ্যে বিকট শব্দ করে ওষুধ ছিটিয়ে দেয় বটে; কিন্তু তাতে মশার উপদ্রব কমছে না। মশার অত্যাচারে রাজধানীবাসী অতিষ্ঠ হলেও মশক নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এখনো উদাসীন। নিয়মিত কার্যক্রম নিয়েই সন্তুষ্ট সংস্থা দু’টি। বিগত বছরগুলোতে এ সময়ে বিশেষ অভিযান চালানো হলেও এবার এখনো তেমন পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। ফলে মশার অত্যাচার সহ্য করেই রাত কাটাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। সংস্থা দু’টির এমন কার্যক্রম দেখে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক যে, আসলেই কি সরকারি সেবা সংস্থা দু’টি আন্তরিকভাবে চায় রাজধানী মশামুক্ত হোক? প্রশ্ন জাগে এ কারণে যে, প্রতি বছর ঢাকায় মশা বাড়লে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়; কিন্তু এ বছর এখনো সে রকম কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনের দাবি, বর্তমানে মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। মশকনিধনকর্মী বাড়ানো হয়েছে। আগে সাত দিন অন্তর ফগিং কার্যক্রম চালালেও গত বছর থেকে প্রতি চার দিনে একবার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ অভিযান না চালানোর পেছনে যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে, এবার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিয়মিত মশার হটস্পট চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেখানে ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এরপরও যদি উপদ্রব বাড়তে থাকে তখন বিশেষ অভিযানের কথা চিন্তা করা হবে।
কীটতত্ত্ববিদদের মতো আমরাও মনে করি, মশার ঘনত্ব কমাতে পূর্ণাঙ্গ মশা এবং লার্ভা ধ্বংসে জরুরি ভিত্তিতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে কীটটি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি । এ মুহূর্তেই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেসব নর্দমা-খাল রয়েছে, সেগুলো পরিষ্কার করে ওষুধ দিতে হবে। যেহেতু মশার লার্ভা সাধারণত সাত দিন থাকে; এ কারণে একটি এলাকায় লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম প্রতি সাত দিন পরপর করলে সুফল পাওয়া যেতে পারে। তবে উড়ন্ত মশা মারতে ফগিং কার্যক্রম প্রতিদিনই করতে হবে। পরিবেশের কিছুটা ক্ষতি হলেও ওষুধ প্রয়োগের বিকল্প নেই। তা হলে নগরবাসী রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবে বলে আশা করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
আবারো হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের ইসকন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে সরকার : হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ উজিরপুরে রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চুরির হিড়িক ৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমাবেশের ডাক চট্টগ্রাম আদালতে দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি চলছে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন বরখাস্ত ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি শ্রীলঙ্কায় আকস্মিক বন্যায় পানিতে ডুবে ৪ শিশুর মৃত্যু সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ, ন্যায়বিচারের আশ্বাস তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রির ঘরে মিরসরাইয়ে কৃষকের ৪টি গরু চুরি

সকল