২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বাগেরহাটে থেমে আছে খননকাজ

অবৈধ স্থাপনা কেন উচ্ছেদ হয়নি?

-

নয়া দিগন্তের চিতলমারী (বাগেরহাট) সংবাদদাতার পাঠানো খবর, সেখানে ২৫৬ কোটি টাকায় নদী-খাল খনন প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আওতাধীন হলো, মরা চিত্রাসহ তিনটি নদী এবং ৫৫টি খালের খনন কার্যক্রম। নদী ও খালের তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিষম উদ্বিগ্ন এ নিয়ে। এ দিকে দুই বছরেও উচ্ছেদ অভিযান সফল না হওয়ায় খনন কাজের জন্য নির্ধারিত সরকারি বরাদ্দকৃত বিপুল অর্থ পড়ে আছে। অন্য দিকে চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশের হক ক্যানেল সম্পূর্ণ নাব্যহীন হয়ে পড়েছে। এ কারণে মরা চিত্রা ও বলেশ্বর নদীসমেত অনেক খাল খনন করা হলেও পানির গতি ও প্রবাহ নেই। অপর দিকে পয়োবর্জ্যসহ ময়লা-আবর্জনা জমে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটিয়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় চাষাবাদ ও নৌপরিবহনও হুমকির সম্মুখীন।
পাউবো জানায়, নাব্য ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় পুরনো মধুমতি, হক ক্যানেল ও মরা চিত্রাসহ তিনটি নদী এবং ৫৫টি খাল আবার খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সরকারিভাবে। এ জন্য ব্যয় বরাদ্দ ২৫৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর চিতলমারী উপজেলা সদরে চিত্রাপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খননকাজ শুরু হয়েছিল। অনেক খালই খনন করা হয়ে গেছে; কিন্তু উপজেলা সদর এবং চিতলমারী বাজারের মধ্য দিয়ে প্রবহমান হক ক্যানেল ও মরা চিত্রা নদী খননের বেলায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অবৈধ প্রভাবে দখলবাজি এবং স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। একই কারণে পাউবো এবং ভূমি অফিসের লোকেরা বারবার নদী ও খালের জায়গা মেপেছেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে লাল রঙের চিহ্নসহ তালিকাও প্রণীত হয়েছে। সে যৌথ তালিকা বিভিন্ন দফতরের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়; কিন্তু দুই বছরেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট বরাদ্দকৃত অর্থ পড়ে আছে। অপর দিকে পাউবো কর্তারা মহা দুশ্চিন্তায়।
স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি জানান, অবৈধ দখলবাজদের নানা অপকৌশলে লাল রঙ চিহ্নিত স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা যায়নি। অথচ এখানে উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতেই এ রঙ দেয়া হয়। কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তির মতে, বছরের বর্তমান সময়েই খাল ও নদীর পানি কম। তাই এটা খননের যথার্থ সময়। তবুও খনন করা না হলে ২৫৬ কোটি টাকা ‘পানিতে যাবে’। পাউবো সূত্রের কথা, দুই বছর আগে জানানো হলেও বাগেরহাটের ডিসি অফিস এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়নি। অবৈধ স্থাপনার দরুন খননের এক্সকেভেটর যন্ত্র হক ক্যানেলের কাছে যেতে পারছে না। এতে কোটি টাকা খরচ করে আশপাশের নদী ও খালে সৃষ্ট, স্রোত বা প্রবাহ আটকে আছে অস্বাভাবিক উপায়ে। আবার একই সংস্থার একজন প্রকৌশলীর মতে, ‘এটা খাস খতিয়ানের স্থান। জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ রাখলেও আমাদের বাজেট লাগে কাজের জন্য; কিন্তু তা নেই। তাই এত উদ্বেগ।’
দীর্ঘ দু’বছরেও অবৈধ স্থাপনা কেন কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করেনি, এর কোনো সন্তোষজনক জবাব মেলেনি। তাই এটা অবিলম্বে করা জরুরি। বাংলাদেশের সর্বত্রই অবৈধ দখলদারির অবসানের লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় ভরাট ও দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘সমাবর্তন ছাড়াই মূল সনদপত্র পাবে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা’ রাজশাহীতে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডে গ্রেফতার ৩ চিন্ময়ের গ্রেফতারে কুমিরের কান্না কাঁদছে শেখ হাসিনা : রিজভী কাউনিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যবসায়ী নিহত মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের স্বীকৃতি ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত শ্রম কমিশনের অগ্রাধিকার দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা : তারেক রহমান অনলাইনে সিম সেবা চালু করেছে টেলিটক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ শাহবাগ থানা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সাঁথিয়ায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে সভা

সকল