অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের পর এবারে বৃহত্তর ঢাকার পাশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদিতে বেআইনি কারখানায় সিসার বিষে মাত্র এক মাসেই কমপক্ষে ৩০টি গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। নয়া দিগন্তসহ জাতীয় পত্রপত্রিকার খবরে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
একটি পত্রিকার সূত্রে জানা যায়, কটিয়াদির হাওর এলাকায় একটি অবৈধ সিসা কারখানার দূষণে গরুগুলো মারা গেছে। এ কারখানা চালু করা হয়েছে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী যুবলীগ নেতার ভবনে। প্রশ্ন জাগে, কিভাবে মাসের পর মাস কৃষি ও গোচারণ ভূমি, জলাশয় এবং মানুষের আবাসের মাঝে এমন একটা দূষণ ছড়ানো ফ্যাক্টরি চলেছে? এখন গরু মরছে প্রায় প্রত্যহ, আর অসুস্থ গরুর সংখ্যা বাড়ছেই। ইতোমধ্যে শতাধিক গরু দূষণে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পত্রিকাটিতে জানানো হয়, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা থাকায় তিনি প্রভাবের দায় এড়াতে পারেন না। আলোচ্য এলাকার দুধ, মাছ, শাকসবজি প্রভৃতি খেলে জনগণের স্বাস্থ্য ক্ষতির শিকার হবে।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুরনো ব্যাটারি ভেঙে সিসা জোগাড়ের ফ্যাক্টরিটি বহু দিন ধরে একটি পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই পরিচালিত হয়ে আসছে। দেশের নানা স্থান থেকে পুরনো ব্যাটারি এনে এ কাজ করা হতো। সিসা ও জ্বলানির বর্জ্য ফসলের জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই ঘাস ও পানি দূষিত হয়ে গেছে। এ ঘাস ও পানি সেবন করায় গরুর মৃত্যু ও অসুস্থতা ঘটছে। কটিয়াদি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি ৯ মাসের গর্ভবতী গাভী এবং কয়েকজনের তিনটি ও দুটি করে, সেই সাথে অনেকের একটি করে গরু প্রাণ হারিয়েছে। এলাকাতে অনেক গরুই একই বিষাক্ত সংক্রমণের শিকার এবং তাদের সংখ্যা বাড়ছে প্রত্যহ।
‘অজ্ঞাত ব্যাধি’তে বেশ ক’টি গরুর প্রাণহানির খবর পেয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও হাসপাতালের একজন ডাক্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এবং উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আরেকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত ও আক্রান্ত গরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার্থে ঢাকায় বিশেষজ্ঞ সমীপে পাঠিয়েছেন। সে মোতাবেক, ১০ জানুয়ারি জানানো হয়, এলাকায় খড় ও পানিতে সিসার মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি দেখা গেছে। উল্লেখ্য, খড় ও পানি দুটোই গোখাদ্য।
তা ছাড়া, সরকারিভাবে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কারখানা ও এর আশপাশে উৎপন্ন, গোখাদ্য (পানিসহ) বর্জন এবং সিসার বিষক্রিয়ার লক্ষণ টের পেলে তাড়াতাড়ি উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, আয়ের আশা করে প্রত্যেকে গরু পালতেন, এখন সবাই দিশাহারা হঠাৎ এত গরুর মৃত্যুতে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার বলেছেন, এলাকায় খড় ও পানিতে সিসার দূষণ খুব বেশি। এতে মৃত ও অসুস্থ গরুর সংখ্যা বাড়ছে। বাতাসে সিসা মাত্রার চেয়ে বেশি থাকলে তা মানুষের জন্যও ক্ষতিকর। কটিয়াদির ইউএনও জানান, কারখানাটি বন্ধ করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ। আর যেন এটা চালু না হতে পারে, সে জন্য তদারক করা হচ্ছে।
আমরাও চাই, বাংলাদেশের কোথাও যেন দূষণ ঘটতে না পারে, এ জন্য আইনের কঠোর কার্যকারিতা থাকবে। অন্যথায়, পরিবেশসহ সবার অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা