জনজীবন খুবই বিপন্ন
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ ব্যস্ত সড়কের দু’দিকের বহু বিশাল গাছ বয়োবৃদ্ধ হয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে এবং মরে যাচ্ছে। এসব মৃত গাছ এ সড়কের যানবাহন, পথচারী, চালক ও যাত্রীদের জন্য এক ধরনের মারণফাঁদে পর্যবসিত হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বয়সের দরুন গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এমনকি, অল্প ঝড়-বৃষ্টিতেও এমন গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মানুষ হতাহত হচ্ছে। ফলে সবাইকে প্রাণের বিরাট ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মাত্র ক’দিন আগে মরা ডাল পড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। নয়া দিগন্তের এক সচিত্র খবরে এ কথা জানা গেছে। নবীনগর সংবাদদাতা এটি পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) অফিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে আলোচ্য রাস্তার ৩০ কিলোমিটার (প্রায় ১৮ মাইল) দীর্ঘ অংশে, দু’পাশেই এনজিও প্রশিকা এবং সরকারের সওজ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার চারা লাগিয়েছিল। এসব প্রজাতির মধ্যে রয়েছে- বিদেশী অ্যাকাশিয়া ও আকাশমনি এবং দেশী কড়ই, শিশু প্রভৃতি। দিন দিন বড় হয়ে সেগুলো একেকটা বিশাল আকার ধারণ করেছে। তবে এর মধ্যে কয়েক শ’ গাছ অসুস্থ হয়ে গেছে। এগুলোর পাতাই শুধু ঝরে পড়ছে না, উপর থেকে ডালপালাও শুকিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় সরেজমিন গিয়ে এসব তথ্যের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেখা যায়, সেখানে কোনো কোনো গাছে ঘুণ ধরেছে; কোনোটাতে পোকামাকড়ের বাসা। নানা জায়গায় বড় বড় গাছপালা রাস্তায় হেলে পড়েছে। এগুলো যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে জনগণ শঙ্কিত।
প্রত্যহ শত শত যানবাহন এবং কয়েক সহস্র পথচারী এখান দিয়ে চলাচল করে থাকে। অথচ একটু বাতাসেও গাছের ডাল পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং আঘাত পাচ্ছে। তাই পথচারী, যাত্রী ও চালকরা রয়েছেন বিরাট ঝুঁকিতে। দিন কয়েক আগে নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কে ডাল পড়ে নবীনগর পৌরসভা এলাকার ভোলাচংয়ের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। ফলে এ রাস্তার মরা গাছ অবিলম্বে কাটার জোর দাবি উঠেছে। এখন রাস্তার ধারে কয়েক শ’ গাছ ঝুঁকিপূর্ণ। এর তলা দিয়ে হাঁটতে গেলে ভয়ে থাকতে হয়; কখন কার মাথায় পড়ে সে দুর্ভাবনায় বুক কেঁপে ওঠে। হেলে পড়া গাছ অনেক ক্ষেত্রে রাস্তার গাড়ির সাথে লেগে দুর্ঘটনার কারণ হচ্ছে।
নবীনগরের ইউএনও জানান, ‘রাস্তার উভয় পাশে বেশ কিছু গাছ মরে গিয়ে ঝুঁকির সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে উপরে জানানো হয়েছে। এসব গাছ চিহ্নিত এবং দ্রুত অপসারণ করা হবে। কিছু গাছ বন বিভাগ ও সওজ অধিদফতর সরিয়েও নিয়েছে।’ বি.-বাড়িয়া সওজের জনৈক কর্মকর্তার আশ্বাস- দ্রুততম সময়ে মরা গাছ শনাক্ত করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনসহ কাটা হবে। অবশ্য কেউ বলতে পারেননি, ‘উপরওয়ালা’রা কত দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন মরা গাছ কাটার জন্য। প্রশাসন সর্বত্র সব মানুষের নিরাপত্তা দ্রুত নিশ্চিত করবে বলে নাগরিকরা আশাবাদী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা