২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
‘এইডা কোনো রাস্তা অইলো’

অবিলম্বে সংস্কার করতে হবে

-

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি থেকে কাশিমপুর হয়ে আশুলিয়া যাওয়ার সড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশন অংশের ১৪ কিলোমিটার সড়কের দশা বাস্তবে বেহাল। গোটা রাস্তায়ই বহু খানাখন্দ। ফলে প্রায় প্রত্যহ এখানে যানবাহন বিকল হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া বর্ষণে সড়কের ওপর হাঁটুপানি জমে থাকে।
একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গাজীপুর সংবাদদাতার পাঠানো এ প্রতিবেদনে প্রাসঙ্গিক নানা তথ্য প্রদান করা হয়েছে। শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে একজন স্থানীয় বাসিন্দার একটি উক্তি : ‘এইডা কোনো রাস্তা অইলো?’ এই বাসিন্দা একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি প্রসঙ্গক্রমে আরো বলেন, ‘বৃষ্টি অইলে মনে অয়, রাস্তা পুকুর অইয়া গেছে। কবে যে রাস্তা ঠিক অইবো, তার হদিস নাই।’ এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোনাবাড়ি থেকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর যাওয়ার সড়কটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি ওয়ার্ডে পড়েছে। এসব লোকজনের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘ দিন বেহাল। কিন্তু তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। রাস্তার দু’পাশে রয়েছে শতাধিক পোশাকসহ বিভিন্ন রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান। এসব কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তারা কারখানার আশপাশেই থাকেন।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জানান, কোনাবাড়ি থেকে কাশিমপুর হয়ে গাজীপুর সিটির বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা দুই বছর আগে সংস্কার শুরু হয়। কোনাবাড়ির দিক থেকে এক কিলোমিটারেরও কম আরসিসি ঢালাই করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন বাকি অংশের কাজ বন্ধ থাকায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং গর্তে পানি জমে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যান চলাচল দূরের কথা, হেঁটে চলাও দায়। কারণ বিভিন্ন স্থানে হাঁটুপানি জমে থাকে। কোনাবাড়ির একজন কলেজশিক্ষক জানান, কাদাপানি থাকায় পথচারীরা হেঁটে চলাচল করতে গিয়েও অনেক সমস্যায় ভোগেন। সড়কের দুই পাশের ব্যবসায়ীরাও অনেক সমস্যায় পড়ছেন। কাদাপানি দোকানে ছিটকে পড়ে জিনিসপত্র নষ্ট হয়। এসব দুর্ভোগ এখন লোকজনের প্রতিদিনের সঙ্গী। সরেজমিন দেখা গেছে, কোনাবাড়ি-কাশিমপুর, জিতার মোড়-জিরানি সড়ক, হরিণচালা, যমুনা কারখানা এলাকা, কেয়া স্পিনিং মিলের সামনে, জরুন বাজার, কাশিমপুর বাজার, হাতিমারা, আরসগঞ্জ, কাজি মার্কেট প্রভৃৃতি এলাকায় সড়কটিতে বড় বড় গর্ত। গর্তে জমে আছে পানি। এই দুর্ভোগের মধ্যেই যানবাহন ও মানুষ চলাচল করছে। স্কুলশিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কটির আশপাশে কয়েকটি কিন্ডারগার্টেনে শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। ফলে স্কুলে যাওয়ার সময়, না হয় ফেরার সময় জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায় কাদামাটিতে। ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। তিনি দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর জোনের প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ‘সড়কটির সাত কিলোমিটার সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়েছে। সড়কটি ৬০ ফুট প্রশস্ত করে আবার নির্মাণ করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুতই সড়কের কাজ শুরু হবে।’ অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি।


আরো সংবাদ



premium cement