২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে অস্বস্তি

জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

-

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডারসহ তিনজন গুলিতে নিহত হয়েছে। ক’দিন আগে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির সময় নারী যাত্রীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অপরাধের ধরন দেখে প্রশ্ন উঠেছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতিজনিত এসব অপকর্ম কি ষড়যন্ত্রমূলক?
দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করা। সে কাজে যে কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি তা প্রধান উপদেষ্টার কথাতেই বোঝা যায়। সম্প্রতি ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। এখানে যেন আমরা বিফল না হই।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখায় প্রধানতম দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশ প্রশাসনে বড় রকমের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। যে পুলিশ সদস্যরা জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে দমনে নিপীড়ন চালিয়েছেন সেই তারা এখন নৈতিকভাবে হীনবল হওয়ায় আগের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করতে পারছেন না। অন্যদিকে গত সাড়ে ১৫ বছরে পুলিশে যে লোকবল নিয়োগ দেয়া হয়, তাতে নিরপেক্ষ কিংবা অন্য কোনো মত-পথের মানুষ চাকরি পেয়েছেন; এমন সংখ্যা নগণ্য। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের ফাঁস হওয়া একটি অডিও ফোনালাপে শোনা যায়, পুলিশের নব্বই শতাংশ জনবল আওয়ামী লীগের। অভিযোগ রয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী পুলিশ সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তায় বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া ১৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। ধারণা করা হয়, এসব অস্ত্র অপরাধীদের হাতে চলে যাওয়ায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তাই লুট হওয়া অবশিষ্ট অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।
ইতোমধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারে ‘ডেভিল হান্ট’ নামে যৌথবাহিনীর একটি অভিযান চলছে। এই অভিযানে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবু চুরি ডাকাতি ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। জনপ্রত্যাশা হলো- চোর, ডাকাত, মাস্তান ও ছিনতাইকারীদের বিষয়ে আরো বেশি কঠোর হবে সরকার। ‘কিশোর গ্যাং’ নামের উৎপাতকারীদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীল নীতি অবলম্বন করবে।
গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাস চললেও জনমানসে স্বস্তি ফিরে আসেনি। সঙ্গত কারণে ভীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে জন অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে কাজে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ক্ষমতাচ্যুত গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অপশক্তি চাইছে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে আইনের শাসন ব্যাহত করতে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে চায়। তবে আশার কথা হলো- এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থাশীল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে সরকারের প্রতি মানুষের এ ভালোবাসা ও সমর্থন কাজে লাগাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
পাঠ্যবই মুদ্রণে সফল ৩৫ প্রতিষ্ঠানকে এনসিটিবির সংবর্ধনা অপারেশন ডেভিল হান্টে আরো ৫৮৫ জন গ্রেফতার সেনা অফিসারদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ দেশের আকাশসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট : বিমান বাহিনী রমজানে কোনো নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না : অর্থ উপদেষ্টা নতুন গবেষণা ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশ মিরসরাইয়ে উদয়ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন নাহিদের পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যা জানা গেল জার্মান নির্বাচন : বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে সিডিইউ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বসতঘর থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার পাবিপ্রবিতে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সকল