নগরবাসীর সীমাহীন ভোগান্তি
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রাজধানী ঢাকায় এমনিতে প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহন কম। ফলে প্রতিদিন যানবাহন পেতে যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর মধ্যে চুক্তিতে বাস চালাতে চান পরিবহন চালক ও তাদের সহকারীদের একটি অংশ। এ জন্য তারা সড়কে বাস নামাচ্ছেন না। অন্য দিকে, তিনটি রুটে বাসের রঙ কমলা করার বাধ্যবাধকতা করায় কিছু গ্যারেজে রয়েছে। এ দুই কারণে কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসের আরো সঙ্কট চলছে। এতে নগরবাসীর সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। একটি সহযোগী দৈনিকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিবহন খাত-সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, কাউন্টারভিত্তিক বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির বাসের চালক ও সহকারীরা। এর মূল কারণ, আগে তারা চুক্তিতে মালিকের কাছ থেকে বাস নিয়ে চালাতেন। সেখানে তাদের আয় বেশি হতো। কাউন্টার ও টিকিট সিস্টেম হওয়ায় তাদের আয় কমে গেছে। এটি তারা মেনে নিতে পারছেন না। একইভাবে রঙ করতে কয়েকটি কোম্পানির বেশ কিছু বাস গ্যারেজে দেয়া হয়েছে। রঙ করা শেষ হলে সেসব বাস তারা সড়কে নামাবেন। এটি শেষ হতে ১০-১২ দিন লাগতে পারে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, কয়েকটি পরিবহনের চালকরা কাউন্টারে বাস চালাতে চাচ্ছেন না। এতে কয়েকটি সড়কে বাস কম চলছে! শুরুতে আপত্তি জানালেও ইকবাল, বলাকা পরিবহনের বাস চলাচল শুরু করেছে। তিনি বলেন, চুক্তিতে গাড়ি চালিয়ে বেশি লাভ করতেন, এমন গাড়িচালকরা এ বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ট্রাফিক) সুফিয়ান আহমেদ বলেন, দুই কারণে ঢাকায় বাসের সংখ্যা কমেছে। প্রথমত, বাসের চালক ও সহকারীদের একটি অংশ আগের চুক্তিতে গাড়ি চালাতে চান। দ্বিতীয়ত, কমলা রঙ করতে অনেক বাস গ্যারেজে রয়েছে। ‘অল্প’ সময়ে এর সমাধান মিলবে।
রাজধানীতে বাস সঙ্কটে নগরবাসী প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহালেও তাদের এই সমস্যা দূর করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এটি যেন তাদের নিয়তি। ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহরে পরিণত হয়েছে। তবু মানুষ গ্রাম থেকে ছুটে আসছেন নানা প্রয়োজনে। এটিই যেন সরকারের পরিতৃপ্তি। বাস্তবতা হলো- ঢাকা শহরের হাজারো সমস্যা থাকলেও দেশের মানুষকে এখানে ছুটে আসতে হয়। এই নগরীতে প্রতিদিন মানুষ দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বাধ্য হয়ে ছুটে আসছেন নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে। সরকার কী করছে এটিই বড় কথা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা