পণ্যের বাজার অস্থির
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহের মতো বাকি। দেশবাসী আশা করেছিল, আওয়ামী ‘চোরতন্ত্রে’র অবসানের পর নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমবে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ভোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন রমজানে কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। সত্যি, সরকার কোনো জিনিসের দাম বাড়ায়নি; বরং রমজানের অত্যাবশ্যকীয় বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলার ব্যয়ও কমিয়েছে। এলসির সংখ্যা বেড়েছে এবং আমদানির প্রক্রিয়া যথাসময়ে শুরু হয়েছে। সরকার যেসব পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছে তার মধ্যে আছে- চাল, গম, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর। সবগুলোই রমজানের জরুরি পণ্য। বিশ্ববাজারেও বেশ কিছু ভোগ্যপণ্যের দাম এখন কমতির দিকে। কিন্তু এসব উদ্যোগের কোনো সুফল আসেনি। বাজারে অস্থিরতা রয়েই গেছে। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের ঘাটতি ও বাড়তি দাম নিয়ে ভোক্তারা প্রায় তিন মাস ধরে ভুগছেন। দেশে যথেষ্ট পরিমাণ ভোজ্যতেল থাকার পরও কিভাবে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হয়েছে, সরকারের কাছে সে বিষয়ে তথ্য আছে। কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দু’-চারজন খুচরা দোকানিকে জরিমানা করে দায় এড়াচ্ছে। এটি নিশ্চিত, দেশে তেলের কোনো ঘাটতি নেই। আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীরা সব সময়ই তেল মজুদ করে রেখে দাম বাড়িয়ে দেন। এবারও সেটিই করেছেন। আগের সরকার ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাই তাদের অপকর্মে নীরবে মদদ দিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও একই পথে চলবে- এমনটি কেউ এখনো ভাবে না। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন না আসায় জনমনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা ও আশাবাদ ক্রমে নিরাশায় পরিণত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সরকার, বিশেষ করে বাণিজ্য উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। নিত্যপণ্যের দাম যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে রাখতে যা যা করণীয় তা করতে হবে। মজুদদারি, মুনাফাখোরির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী দুর্বৃত্তদের দমনে দেশে যথাযথ আইন আছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। তেলের মিল ও গুদামে আকস্মিক পুলিশি অভিযান চালানো, উৎপাদন, সরবরাহ, মজুদ ও আমদানির গোটা প্রক্রিয়া তদারকি করা জরুরি। অপরাধী শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। আমদানিকারকরাই অবৈধভাবে মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে। তার প্রমাণ সাম্প্রতিক সময়েই দেখা গেছে। মাস দুয়েক আগেও বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছিল। গত ৯ ডিসেম্বর সরকার লিটারপ্রতি দাম আট টাকা বাড়ানোর সাথে সাথে বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়। এসব তথ্য সরকারের অজানা নয়। সুতরাং মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ আর খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানা- ইত্যাদি লোকদেখানো কাজকর্ম দেখতে চায় না। কোনো বিশেষ সিন্ডিকেট, কোনো গোষ্ঠী সরকারের চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর হয়ে উঠবে- এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা