২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`
মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়ক এখন মরণ ফাঁদ

দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিন

-

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার প্রধান সড়ক মদনপুর-মদনগঞ্জ খানাখন্দে ভরে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়েছে মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটি। এটি ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এ পথে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে নজরদারি না থাকায় খানাখন্দ বেড়েই চলেছে।
সহযোগী এক দৈনিকের বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা ও বন্দর উপজেলার বন্দর, মুছাপুর, ধামগড়, মদনপুর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা চলাচল করেন এ সড়ক পথে। তা ছাড়া এর পাশে থাকা ছোট-বড় অর্ধশতাধিক শিল্প-কারখানার যানবাহন ও শ্রমিকরাও চলাচল করেন। এতে সড়কের নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ইস্পানি বাজার এলাকা, বন্দর বাসস্ট্যান্ডসহ শতাধিক স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় এটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব খানাখন্দ দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বাস, ট্রাক, লরি, সিএনজি, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যাত্রী, শিক্ষার্থী ও চালকরা বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন।
মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ সম্প্রসারণ ও সংস্কারকাজ করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি ও অনিয়মে সম্প্রসারণ ও সংস্কারের এক বছর পার হতে না হতে সড়কটি বিভিন্ন স্থান ভেঙে ও সড়কের পিচঢালাই উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া গত বছরের ১০ অক্টোবর বন্দরের মদনগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ৩৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু চালু হওয়ার পর মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটিতে চাপ বহুগুণ বেড়ে গেছে। তাই সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে এবং একটু বৃষ্টি হলে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণসহ মৃত্যু হয়েছে অনেক যাত্রীর।
এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আব্দুর রহিম বলেন, সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ওই সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এ জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
‘শিক্ষাকে সভ্যতার কেন্দ্র এবং সড়ককে সভ্যতার স্নায়ু বলা হয়’। এর পরিবর্তে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এটা কোনোভাবে কাম্য ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সড়কটি হওয়া উচিত ছিল সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য সুগম। অবিলম্বে ঢাকার নিকটবর্তী বন্দর উপজেলা সড়কটির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমরা। অতিদ্রুত এটি সংস্কার করে জনদুর্ভোগ দূর করতে উদ্যোগ নেয়া হবে, এটিই এলাকাবাসীর মতো আমাদেরও চাওয়া।


আরো সংবাদ



premium cement