দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিন
- ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
২০২৪ সালের দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ২০২৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। ২০২৩ সালে এই অবস্থান ছিল দশম। গত ১৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম ২৩ নম্বর পেয়েছে এবার। দেশে দুর্নীতি কমেছে, তা নয়। বরং বাংলাদেশ নম্বর আরো কম পেয়েছে। ২০২৩ সালে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পায় ২৪ নম্বর। দুর্নীতি বাড়ায় বাংলাদেশের ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে নম্বর এক কমেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে দুর্নীতি বাড়ায় সূচকে বাংলাদেশ চার ধাপ এগিয়েছে।
শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে দুর্নীতি আর লুটপাটের উৎসব চলেছে। শেখ হাসিনা নিজেও এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সাথে ছিলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও পরিষদবর্গ। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিইআই) শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৯টি প্রকল্পে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির এমন অভিযোগ তখন তাদের অধীনস্থদের অবস্থাও ভিন্ন হওয়ার কথা নয়।
সম্প্রতি অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৈরি অর্থনীতির শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে দুর্নীতির মহোৎসব চলত তার শাসনকে প্রলম্বিত করার বাসনা থেকে। শেখ হাসিনা আমলা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশে একটি চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। নানা উপায়ে তারা দুর্নীতি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ঘুষ, সরকারি তহবিল তছরুপ, সরকারি কাজে অতিরিক্ত লাল ফিতার দৌরাত্ম্য, সরকারি নিয়োগে স্বজনপ্রীতি এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কায়েমি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দখলদারিত্ব প্রভৃতি।
৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন তার একটি। ইতোমধ্যে এই কমিশন ৪৭টি সুপারিশ সংবলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। সুপারিশের মধ্যে দুদকের সঙ্কটের কথা তুলে ধরে এর সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। দুর্নীতি দমনে দুদক সংস্কারসহ সংস্কার কমিশনের অন্য সুপারিশগুলো সরকারের গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।
আইনের শাসন ফেরাতে হলে দুর্নীতিবাজদের বিচার হতে হবে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অগ্রগতি সামান্য। কাজ আশানুরূপ গতিতে এগোচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিবাজদের বিচারের মুখোমুখি করতে না পারলে জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়বে। আমরা মনে করি, সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান আরো শক্তিশালী ও জোরদার করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা