১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ শাবান ১৪৪৬
`
গারো পাহাড়ে টিলা খুঁড়ে বালু লুট

কঠোর ব্যবস্থা নিন

-

শেরপুর জেলার সীমান্তে গারো পাহাড়ের টিলা খুঁড়ে অবৈধভাবে লাল বালু তুলছে একটি চক্র। একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে এ বালু রাতের আঁধারে ট্রাকে করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এসব ট্রাকে মাদক পাচারের অভিযোগও আছে।
শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্তবর্তী মেঘাদল, বাবলাকুনা, হারিয়াকোনা গ্রামের মানুষ জানান, ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী পরিচয়ে গারো পাহাড়ের সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতি রাতে ট্রাকে করে ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল এবং অন্যান্য মাদক পাচার করে যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে এসব মাদকদ্রব্য। কর্ণঝোরা গ্রামের উজ্জ্বল বলেন, ‘এ সীমান্ত এলাকায় অনেকে চোরাকারবারের সাথে জড়িত। তবে বর্তমানে কর্ণঝোরা গ্রামের আজিজুল হক মেম্বারের ছেলে মাসুদ ৫ আগস্টের পর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। শ্রীবর্দী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন নেতা বলেন, সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু রায়হান বাবুলের ছত্রছায়ায় মাসুদ ও তার বাহিনী সীমান্ত অঞ্চলে অবৈধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। কিন্তু এতে বদনাম হচ্ছে পুরো বিএনপির। জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় এ ব্যাপারে কারো কাছে বিচার দেয়া যাচ্ছে না।
তবে উপজেলা বিএনপি বলছে, চোরাকারবারিদের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জেলা প্রশাসক বলছেন, প্রশাসনের কেউ ‘জড়িত থাকলে’ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত মাসুদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধে জড়িত নই। আওয়ামী লীগের সময়ে ১৭টি মামলা খেয়েছি। জেল-জুলুম খেটেছি।’ শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে শ্রীবর্দী সীমান্তে রাত নামলেই অবৈধ বালুর গাড়িতে মাদক পাচার হয়। আমরা সেখানে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি এবং ভিডিও ধারণ করেছি।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম দুলাল বলেন, অভিযুক্তরা বালু ও মাদক কারবারি। বিএনপির সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
শ্রীবর্দী থানার ওসি আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘গত ২৩ জানুয়ারি রাতে মাসুদসহ অন্য অপরাধীদের নামে আমাদের থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বালু ও মাদক পাচারের অভিযোগ আছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।’
পরিবেশবাদী সংগঠন সেভ হিউম্যানিটি ইন্টারাপ্টেড নেচারের নির্বাহী পরিচালক বলেন, পাহাড় খুঁড়ে লাল বালু লোপাট করার কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সরকারের এ দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত।’
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়নি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মামলা, জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।’
শুধু সীমান্ত এলাকা নয়, ‘সর্বত্রই সরকারের কর্তৃত্ব কায়েম করা প্রয়োজন। প্রশাসন সক্রিয় না থাকায় দখলদারদের সুবিধা হয়। তারা প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন মহলের একটি অংশের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বালু লুট করে। এদের অবিলম্বে কঠোর হস্তে দমন করা দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
টিকিট সিন্ডিকেট ভাঙার খবরে স্বস্তি বাংলাদেশে আদানিকে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহের আহ্বান আবরার হত্যা মামলায় হাইকোর্টে তৃতীয় দিনের শুনানি সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম সরাসরি বিমান চলাচল নিয়ে আলোচনা রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা সদস্য নিহত মানিকগঞ্জে থানায় দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যু সোনারগাঁওয়ে ধরা পড়ল ৮ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে : যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সাড়ে ১৬ হাজার গায়েবি মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা তৌহিদী জনতাকে হুমকি নয়, সতর্ক করেছি : উপদেষ্টা মাহফুজ

সকল