জনদুর্ভোগের অবসান ঘটান
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রাজধানী ঢাকা মহানগরী অনেক আগে থেকেই বসবাসের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাসযোগ্যতার দিক থেকে ঢাকার অবস্থান একেবারেই নিচের সারিতে, এমনকি বিশ্বের কোনো কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত নগরীর সমপর্যায়ে। এর নানাবিধ কারণ বিদ্যমান। অতিরিক্ত জনসংখ্যাসহ নাগরিক সুবিধার অভাব এবং পরিবেশগত কারণ অন্যতম। কিন্তু সম্প্রতি এটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মারাত্মকভাবে ধুঁকছে। বিগত স্বৈরাচারের ১৫ বছরে লুটপাটের বাইরে আর কোনো দিকে মনোযোগ না দেয়ায় নগরীর সড়কগুলো বেহাল দশায় পৌঁছে গেছে।
সহযোগী একটি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সড়ক এই মুহূর্তে ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। কোথাও ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, কোথাও উন্নয়ন কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে, কোথাও বা স্যুয়ারেজ লাইন ও ম্যানহোল বিপজ্জনকভাবে খোলা পড়ে আছে। খবরে বলা হয়, রাজধানীর কয়েকটি ভিআইপি সড়ক ছাড়া বাকি প্রায় সব সড়কই এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্বৈরাচার উৎখাতের পর নগরীর কাউন্সিলর ও ঠিকাদাররা লাপাত্তা। তারপরও অনেক কাজ চলমান রয়েছে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, তিতাস, ডেসকোসহ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন কোনো-না-কোনো সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে চলছে মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। এগুলো বছরের পর বছর ধরে যেন নগরবাসীর ভোগান্তি সহ্য শক্তির পরীক্ষা নিচ্ছে।
মিরপুরের ৬০ ফুট সড়ক বর্ষায় ডুবে থাকে পানিতে। প্রগতি সরণির কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কালাচানপুর নদ্দা পর্যন্ত সড়কে দু’পাশে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। সড়ক চাপা হয়ে গেছে বেড়া দেয়ায়। তিন রাস্তার গাড়ি এসে ঢুকছে এক সড়কে। সারাক্ষণ যানজট লেগেই আছে। বাড্ডা লিঙ্ক রোড গর্তে ভরা। বাড্ডার অনেক রোডের এখন শুধুই খানাখন্দ। মহাখালী বাসটার্মিনালের সামনের সড়ক, সাতরাস্তা, কাওরান বাজার, ফার্মগেট ও মিরপুরের বিভিন্ন সড়কও একই অবস্থায়। মোহাম্মদপুরের বিস্তৃত এলাকায় সড়ক ভাঙাচোরা।
দক্ষিণ সিটির যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়ায় সড়কের পিচ উঠে গেছে, গর্তও হয়েছে কোথাও কোথাও। পুরান ঢাকার অনেক সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। স্বামীবাগ, আর কে মিশন রোড, ওয়ারী, গোলাপবাগ, চকবাজার, ইসলামপুর বেহাল দশায়। এমনিতেই অপ্রশস্ত সড়কগুলোতে জন ও যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সড়কে নতুন পাইপ বসানোর জন্য স্যুয়ারেজ লাইনে কাজ চলছে। সেই লাইন পড়ে আছে খোলা অবস্থায়। বহু সড়কে ম্যানহোল খোলা। এগুলো একরকম মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মুগদা, বাসাবো, গোরান এলাকার বাসিন্দারা জানেন, তাদের ভোগান্তির বোধ হয় কখনোই অবসান হবে না।
বস্তুত, পুরো নগরী যেন অভিভাবকহীন। নগরবাসীর ভোগান্তি দেখার কেউ নেই। মাসের পর মাস কাজ চলতে থাকায় যানবাহনের গতি কমে গেছে। বিশাল বিশাল ফ্লাইওভার নগরীর গতি বাড়ানোর পরিবর্তে স্থবির করেছে। যানবাহন চলছে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার গতিতে। মানুষের বিপুল কর্মঘণ্টার অপচয় হচ্ছে। অনেক সড়কে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার জায়গা পর্যন্ত নেই। মানুষের শেষ চিকিৎসাটুকু পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ থাকছে না।
সিটির দায়িত্বশীলরা যথারীতি বলেছেন, মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, কাজ হয়ে যাবে; কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা