০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ২ শাবান ১৪৪৬
`
পতিত সরকার আমলে দারিদ্র্য বৃদ্ধি

লুটপাট-অপশাসন দায়ী

-

পতিত শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ না-কি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসেছে। দেশে মাফিয়াতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হাসিনার মন্ত্রীদের ভাষায়- বিশ্বে বাংলাদেশ ছিল উন্নয়নের রোলমডেল। কিন্তু এটি যে তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছিল তা বলাই বাহুল্য।
মিথ্যার আড়ালে সত্য খুব বেশি দিন চাপা দিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার হাসিনার দুঃশাসনে মানুষের জীবন যে কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তার চিত্র এখন পাদপ্রদীপের আলোয় আসছে।
বিগত দেড় দশকে ভয়াবহ লুটপাটে গুটিকয়েক মানুষ বিলাসীজীবন কাটিয়েছে; বাদবাকি সবাই ছিলেন অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত। তার একটি নমুনা বর্তমানে দেশে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়া। সাধারণের আর্থিক অবস্থা এত শোচনীয় যে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানীতেই ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন।

নয়া দিগন্তসহ গণমাধ্যমের খবর, সর্বশেষ খানা জরিপ ২০২২ (হেইস) অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ক্ষুদ্র এলাকার দারিদ্র্য নিয়ে পোভার্টি ম্যাপ বা দারিদ্র্যের মানচিত্র অনুযায়ী, গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দারিদ্র্য বেড়ে এখন ১৯ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দারিদ্র্য রয়েছে মাদারীপুর জেলায় ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ৬ দশমিক ১ শতাংশ নোয়াখালী জেলায়। বিবিএসের তথ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্রও উঠে এসেছে।
পোভার্টি জরিপে দেখা যায়, সার্বিকভাবে দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়লেও হেইসের তুলনায় পোভার্টি ম্যাপে গ্রামে কমেছে। হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে-২০২২ (হেইস) অনুযায়ী, গ্রামে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা বর্তমান সার্ভেতে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৩ শতাংশে। অন্যদিকে, শহর এলাকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। খানা জরিপ অনুযায়ী, শহরে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, এটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৬ শতাংশ।

দারিদ্র্য ম্যাপে আরো দেখা যায়, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা- ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ। গত ২০১০ সালের জরিপে এ উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
দেশে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার প্রধানতম কারণ, স্বৈরাচারের আমলে লুটতন্ত্র কায়েম। এক দিকে বিদেশী ঋণে অপ্রয়োজনীয় বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি করা। দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ (যার পরিমাণ ২৩৪ বিলিয়ন ডলার) দেশ থেকে বিদেশে অবাধে পাচার করা। অন্যদিকে ব্যবসায়-বাণিজ্যে দুষ্টচক্র গড়ে সাধারণ মানুষের পকেট মারতে সব অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতি তো রয়েছেই। পরিণামে আমাদের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক এখনো খারাপের দিকে। ফলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা এখনো সম্ভব হচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
এখনো আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, বাজারে সিন্ডিকেটও আছে : সারজিস ত্যাগীদের নিয়ে গণমানুষের সংগঠন গড়ে তোলা হবে : আফরোজা খান রিতা জয়পুরহাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত শ্বেতী রোগ কি ছোঁয়াচে, নিরাময়যোগ্য অসুখ? কাউখালীতে নাশকতা ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩ ট্রাম্পের মার্কিন সাহায্য হ্রাস : দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের আশঙ্কা অভিষেকেই বাজিমাত বাংলাদেশের হামজার গাজায় যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা করবেন নেতানিয়াহু গাজায় আবারো যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা সিরাজগঞ্জে নদীতে ডুবে ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ : আরো দুজনের লাশ উদ্ধার নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়লেন হান্নান, হতে চান কোচ

সকল