নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অকার্যকর
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
দেশে দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো ছাড় দেয় না। দরিদ্র দেশগুলোতেও এজন্য উন্নত নজরদারি রয়েছে। ভেজাল মেয়াদোত্তীর্ণ কিংবা মানবদেহে ক্ষতিকর কোনো খাবার ওইসব দেশের বাজারে দেখা যায় না। কিন্তু আমাদের দেশে পণ্যের মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা একেবারে নড়বড়ে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে এখনো কোনো কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এদেশ খাদ্যপণ্যের মান বজায় রাখার ব্যাপারেও ব্যর্থ হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব জনস্বাস্থ্যে পড়ছে। এদেশের মানুষ অধিক হারে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।
সংবাদমাধ্যমের খবরে দেখা যায়, নামীদামি ব্র্যান্ডের কসমেটিক আইটেম নকল করে বিক্রি করা হচ্ছে। ওইসব কোম্পানির হলোগ্রাম নকল করে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু, ক্রিম, পারফিউম, পাউডারসহ সব প্রসাধনী সামগ্রীতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার হচ্ছে। ফরসা হওয়ার ক্রিমে ঝলসে যাচ্ছে চামড়া, উঠছে মেছতা ও পড়ছে দাগ। সুপারশপেও এ ধরনের নকল পণ্য পাওয়া যায়।
মশার কয়েল তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত উপাদান দিয়ে। এগুলো প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার বিপজ্জনক। সেজন্য এ-সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম হতে হয় টেকসই ও নিরাপদ। বাজারে এসব সরঞ্জাম নিয়ে বহু কোম্পানির আবির্ভাব ঘটেছে। দেদার বিক্রিও করছে। এ জন্য বহু দুর্ঘটনা ঘটছে। কোমল পানীয় ও জুস বাজারে সবচেয়ে চালু আইটেম। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে কম দামি রঙ। চিপস ও নানা বেকারি পণ্যও চালু খাদ্য আইটেম। এগুলোর সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো তৈরিতে বিশুদ্ধ খাদ্য উপাদান ব্যবহারের চেয়ে উৎপাদকদের লক্ষ্য থাকে আকর্ষণীয় মোড়কের ব্যবহার। শিশু ও কম বয়সীদের এর মাধ্যমে আকৃষ্ট করতে চায়। বাজারে বিক্রি হওয়া পানি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া বাজারে এখন মোড়কজাত কয়েক ডজন খাদ্যপণ্য রয়েছে। এগুলোতে মানবদেহের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে এমন উপাদান থাকার কথা জানাচ্ছে। শিশুখাদ্য ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধেও ভেজাল ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমনকি পশুখাদ্য রেহাই পাচ্ছে না ভেজাল থেকে।
পণ্যের মান নির্ধারণে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নামের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর কাজ পণ্যের লাইসেন্স দেয়া। বাজারে পাওয়া সব পণ্যের মোড়কে এর সিল পাওয়া যায়। বাস্তবে এই সিল থাকা পণ্যমাত্র বিশুদ্ধ মানসম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়- তার নিশ্চয়তা নেই। বাজার সয়লাব হয়ে যাওয়া ভেজাল ও মানহীন পণ্যের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপারে আস্থা রাখা যায় না। তার ওপর বিগত সাড়ে ১৫ বছর চেপে বসা দুর্নীতিবাজ সরকারের ছায়াও এর জন্য দায়ী।
দেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই; ফ্যাসিবাদী হাসিনার জমানায় নিয়মনীতি বজায় রেখে কাজ করতে পেরেছে। সব জায়গায় ঘুষ-দুর্নীতি প্রধান হয়ে উঠেছিল। গলির ভেতর কিংবা প্রত্যন্ত কোনো একটি এলাকায় একটি পণ্য উৎপাদন করে সেটিতে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বিএসটিআইয়ের সিল। এমন পণ্য বাজারে সয়লাব। এ অবস্থায় ভেজাল ও মানহীন পণ্য ঠেকাতে হলে সরকারের পক্ষে বড় ধরনের উদ্যোগ দরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা