পরিবেশ বিপন্নকারী কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন
- ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম এলাকার সর্তা খালে অবৈধভাবে দিনে-রাতে চলছে বালু উত্তোলন। এতে খালের পানিপ্রবাহের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাঙছে ফসলি জমি ও বাড়িঘর। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলায় মারাত্মকভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে চালানো হচ্ছে এমন অপকর্ম। ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না কেউ। একাধিকবার প্রশাসন অভিযান চালালেও কোনো লাভ হয়নি। একটি সহযোগী দৈনিকের ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ খিরামের সর্তা খালে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে দিনে-রাতে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালীরা। একই রকমে খিরাম বাজারের পূর্বপাশেও উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। সরকারি ইজারা ছাড়াই প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করে দীর্ঘদিন চলছে বালু তোলার মহোৎসব। এতে পানিপ্রবাহে গতি পরিবর্তন হওয়ায় নদীর পাড় ভেঙে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়িঘর বিলীন হওয়ার পথে। বালু উত্তোলনের পরে গাড়ি পরিবহন করা হচ্ছে মানুষের কৃষিজমির ওপর দিয়ে। এতে জমির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সড়কগুলো।
বালু উত্তোলনের কারণে দুর্দশার কথা জানিয়ে খিরাম এলাকার বাসিন্দা ও উপজেলা কৃষক দল নেতা নুরুল আলম বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে আমরা সর্বস্বান্ত। গ্রাম, খাল ও রাস্তা গ্রাস করে নিচ্ছে। প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে হয়তো জীবনটা বাঁচবে।’
গ্রামের বাসিন্দা মফিজুল আলম বলেন, ‘খালটা অনেক দূরে ছিল। বালু তোলার ফলে ধীরে ধীরে খালে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন প্রায় আধা মাইল এগিয়ে এসেছে। এখন আমাদের কয়েকটি গ্রাম ভাঙনের হুমকির মুখে।’
গত বছরের বন্যায় সর্তা খালের একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। ডুবে যায় গ্রামের পর গ্রাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বর্তমানে ২৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘খালের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন বেড়েছে। এখন থেকেই ভাঙন রোধে কাজ করতে হবে।’ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালালেও অদৃশ্য কারণে এসব বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অবাধে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কারণে খালের বাঁধ, কৃষিজমি ও সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ অবৈধ বালু উত্তোলনে ভাঙন বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়ে। পরিবেশ ধ্বংস হলে কেউ এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। এ জন্য প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে সবাইকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পেলে চলবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা