২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`
কোটায় নিম্ন মেধাবীদের মেডিক্যালে ভর্তি

পর্যালোচনা করা হোক

-

চলতি শিক্ষাবর্ষে দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ হাজার ৩৮০টি এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছয় হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফল গত রোববার প্রকাশ করা হয়। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাস মার্ক ছিল ৪০। অংশগ্রহণকারী এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ইতোমধ্যে দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য পাঁচ হাজার ৩৭২ পরীক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
কিন্তু মেডিক্যালের ফল প্রকাশের পর তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কোটাধারীরা ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিক্যালে ভর্তিতে নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কোটায় সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকা যাচাই করে দেখা গেছে, অনেকের প্রাপ্ত স্কোর ৪০ থেকে শুরু করে ৫০-এর মধ্যে। পাস মার্ক ৪০ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দু’জন। এ ছাড়াও ৪০+ থেকে ৪২ নম্বর পেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪০ জন। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর ৫৫-এর উপরে। যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী ৭০+ পেয়েও মেডিক্যালের জন্য যোগ্য বিবেচিত হননি। প্রশ্ন উঠেছে, এটা কী ধরনের ইনসাফ। দেখা গেছে, আগে মেডিক্যাল পরীক্ষায় কোটা থাকলেও সেখানে কাট মার্কের চেয়ে ১/২ মার্কের চান্স পেতেন কম। কিন্তু এ বছর কোটায় কাট মার্কের চেয়ে ৩০-৩৫ কম পেয়েও সরকারি মেডিক্যালে চান্স পেয়েছেন, যা ন্যায্যতার মাপকাঠিতে প্রশ্নবিদ্ধ।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, মেডিক্যাল কলেজ ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গণাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে, তাদের নাতি-নাতনী বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না। মেডিক্যালে শিক্ষায় কোটা-সুবিধা নিয়ে ভর্তির বিষয়ে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কিসের কোটা? আজ থেকে এ শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ।
শুধু শিক্ষার্থী নন, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের তরফ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া আসায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর কোটায় ভর্তিযোগ্য হওয়া ১৯৩ জনের ফল আপাতত স্থগিত রেখে তাদের কোটার সনদ যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লক্ষণীয়, কোটার কারণে এমন সব মেধাহীন উচ্চতর লেখাপড়ায় সুযোগ পাচ্ছেন, যাতে করে মেধাবী শিক্ষার্থীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। সঙ্গত কারণে এ কথা অন্যায্য হবে না যে, কোটা প্রথা যদি রাখতেই হয়, তাহলে তারও একটি ন্যূনতম যোগ্যতা রাখা উচিত, যাতে কোটা-সুবিধায় একেবারে মেধাহীনরা উচ্চতর লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে না যান। কারণ আর যা-ই হোক, উচ্চতর লেখাপড়ায় বিশেষ করে মেডিক্যাল শিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় ৪০-৪১ পাওয়া শিক্ষার্থী দিয়ে কতটা ভালো চিকিৎসক পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
মেধাহীন দিয়ে জাতি খুব বেশি উপকৃত হবে না। মেধাহীনরা সময়ের পরিক্রমায় একদিন যদি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন, তা হবে বিপর্যয়ের শামিল।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, নিরপদে অবতরণ লন্ডন ক্লিনিকে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা ৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়ায়-আরিচায় নৌযান চালাচল শুরু ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম জয় মঠবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সম্পাদককে শোকজ চ্যাম্পিয়নস লিগে অবিশ্বাস্য রাত, মহানাটকীয় ম্যাচে বার্সার জয় মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম কেন সরব? হামাসের আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যর্থতা : পদত্যাগের ঘোষণা ইসরাইলি সেনাপ্রধানের

সকল