১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০২ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রজব ১৪৪৬
`
ওমরাহ হজের টিকিট নিয়ে অনৈতিকতা

মানুষ কি ভালো হবে না

-

এখন চলছে আরবি রজব মাস। এরপর শাবান মাস শেষেই আসছে পবিত্র রমজান। রাসূল সা: বলেছেন, ‘রমজান মাসে ওমরাহ করা আমার সাথে হজ আদায় করার সমতুল্য।’ আর তাই রমজান মাস এলে মুসলমানদের অনেকে ওমরাহ হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান।
মুসলমানদের পবিত্র এই ইবাদত পালনের সুবিধা করে দিতে সব কিছু যতটা সম্ভব সহজ করে দেয়া হবে এটিই প্রত্যাশিত। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য কারণে প্রায়ই তেমনটা ঘটে না। প্রায় প্রতি বছর রমজান মাস এলে ওমরাহ হজে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে যায়। ওমরাহ হজের বিমানের টিকিটের ব্যবস্থাপনা চলে যায় সিন্ডিকেটের হাতে। সৃষ্টি হয় তুঘলকি কাণ্ড।
গতকাল একটি সহযোগী দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, এবার রমজান মাস আসতে না আসতেই বিদেশী এয়ারলাইন্স ওমরাহ টিকিটের দাম বৃদ্ধি করেছে। টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন সৌদি আরবগামী অনেক যাত্রী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় থেকে গত সোমবার আগামী ১ মার্চ রমজানের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটের ওমরাহ টিকিটের দাম ৮০০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৮১৫ ডলার করা হয়েছে। এর পরদিন মঙ্গলবার সাউদিয়ার ঢাকা অফিস এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ওমরাহ হজের টিকিটের দাম ৮৮০ থেকে ৯০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে ঢাকা সাউদিয়ার সেলস বিভাগ কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার দরকারই মনে করেনি।
অন্যদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাহ হজের টিকিট বিক্রির ঘোষণা দিলেও ওমরাহ এজেন্সিগুলো মাসের পর মাস ঘুরেও টিকিট পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের বলেছেন, রমজান আসার আগেই এক শ্রেণীর মুনাফালোভী ট্র্যাভেল এজেন্সি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে হাজার হাজার ওমরাহযাত্রীর টিকিটের জন্য অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখছে। এ সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো অস্বাভাবিক চাহিদা দেখিয়ে দফায় দফায় ওমরাহযাত্রীর টিকিটের দাম বাড়াচ্ছে। এতে ওমরাহযাত্রীদের সাথে জুলুম করা হচ্ছে।
যেকোনো জিনিসের চাহিদার আলোকে জোগানের সঙ্কট থাকলে বাজারে তার দাম বৃদ্ধি পাবে- এটি খুব স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো জিনিসের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তার দাম বৃদ্ধি করা রীতিমতো অনৈতিক। ওমরাহ টিকিট নিয়ে যা হচ্ছে তা অনৈতিক মুনাফা লাভের অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই চলতে পারে না।
বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো তাদের মতো করে ওমরাহ টিকিটের দাম নির্ধারণ করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কি আমাদের বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় কিংবা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই?
আর আমাদের বিমানের ওমরাহ টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না কেন? কারা এই টিকিট সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত? কারা আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যাওয়ার পথে অনৈতিক মুনাফা লাভের অপচেষ্টা করছেন?
আমরা এ বিষয়ে বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওমরাহ টিকিট নিয়ে গড়ে ওঠা অনৈতিক এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিন। ওমরাহ টিকিট পাওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করুন। আইন-কানুনের যথাযথ প্রয়োগ হলে অনেক সমস্যা আপনাআপনিই দূর হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্দোলনরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ছাত্রদলের নিন্দা ফের ইউরোপের মাঠে ফিরতে যাচ্ছে মেসি! জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সম্মেলন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাথে আপসের কোনো সুযোগ নেই : প্রেস সচিব গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল আমদানি খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা খসড়া তালিকায় আল আমিন-জীবনরা এনআইডি সেবা হাতে রাখতে প্রধান উপদেষ্টা ও তিন মন্ত্রণালয়কে ইসির চিঠি বিশ্বকাপ খো খো : কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অগ্নি-প্রতিরোধ মহড়া ১৯ জানুয়ারি পাটগ্রামে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল দিল বিএসএফ

সকল