১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
দ্রুত নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে দেশ

চাপা পড়ছে সংস্কারের গণদাবি

-

দেশে অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। বৃহত্তম দল বিএনপি চলতি বছরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বদ্ধপরিকর।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগেই বলেছেন, জনগণ যখন চাইবে তখনই নির্বাচন হবে। কম সংস্কার চাইলে চলতি বছরের মধ্যে এবং বেশি সংস্কার চাইলে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে বিএনপি বলে দিয়েছে, চলতি বছরই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো কিছু ভাবার সুযোগ নেই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকের পর দলের পক্ষ থেকে যে ব্রিফ করা হয় তাতে বলা হয়- অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি দেশ বেশি দিন চলতে পারে না। সংস্কার প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘যে ক’টি বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে যেতে পারব সেগুলো দ্রুত করা যেতে পারে। যেগুলোতে ঐকমত্য হবে না সেগুলো জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামী দিনে সংসদে পেশ এবং পাস করা হবে।’ দলের আরেকজন নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারকে বলব, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিন।
দলটির কথা একেবারেই স্পষ্ট। সংস্কার নয়, সবার আগে চাই নির্বাচন। তারা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারকে জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন মনে করেন না।
এ দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্বাচনের বিষয়েই জোর দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনকে ইতিহাসের সেরা এবং ঐতিহাসিক করার পরিকল্পনা করছে সরকার। যাতে এই নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকে।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দিকে মনোযোগী নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সময়ে এমন কোনো কিছু করা ঠিক হবে না, যা জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করবে।
গত রোববার নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ বলেছেন, ইসির সামগ্রিক মনোযোগ জাতীয় নির্বাচনে। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে আরো কিছু অংশীজন আছে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের বিষয়ে কথা বললেও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব কখনো পাশে ঠেলেনি। গণ-অভ্যুত্থানের মূলশক্তি ছাত্ররা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার আগে নির্বাচন হতে পারে না।
সাধারণ মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা জানার উপায় নেই। সংস্কার না নির্বাচন- এমন প্রশ্নে গণভোট দিলে হয়তো জানা যেত। সেটি কেউ ভাবছে না।
এ অবস্থায় এখন মনে হচ্ছে, জুলাই বিপ্লবের যে অভূতপূর্ব বিশাল অর্জন তা মৌলিক ও কার্যকর কোনো ফলোদয় ছাড়াই অবসিত হতে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এটি একটি অসম্পূর্ণ বিপ্লব হিসেবেই হয়তো ইতিহাসে জায়গা করে নেবে।
আমরা বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত কোনো রকম কালক্ষেপণ না করে এসব বিষয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু করা। সংলাপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছা। নির্বাচিত সরকারের পক্ষে সব সংস্কারে হাত দেয়া প্রায়শ কঠিন।


আরো সংবাদ



premium cement
ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানাশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা ‘চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈদেশিক সম্পর্কে নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ’ গাজায় এ পর্যন্ত ২০৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইল বারিতে শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ তারিক সিদ্দিক, টিউলিপ ও পুতুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের জামিন নামঞ্জুর, ৮ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট ছোটবেলার বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল মাসিক ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে ঢাবি ছাত্রীরা সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

সকল