১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
সীমান্তে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

প্রতিবাদ জারি রাখুন

-

জুলাই বিপ্লবে নতুন এক বাংলাদেশের অভ্যুদয় প্রতিবেশী ভারত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। জনগণের এ বিজয়কে স্বাগত জানানো দূরের কথা, উল্টো একে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো অবকাশ বাকি রাখেনি দেশটি। এসবে একে একে ব্যর্থ হয়ে শেষে সীমান্তে আগ্রাসী আচরণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশী হত্যার পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টাও জোরেশোরে করে যাচ্ছে। বহু বছর পর সীমান্তে ভিন্ন এক বাংলাদেশকে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও জনগণ মিলে ভারতের ত্রাস রুখে দিচ্ছে। সরকারও আগের মতো নতজানু হয়ে ভারতের আগ্রাসনের মুখে পিছু হটছে না। তবে এখন পর্যন্ত সরকার যথেষ্ট শক্তিশালী পদক্ষেপ নেয়নি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় ভারত বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালায়। সব জায়গায় তারা বিজিবির বাধার মুখে অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। ভারতের আশীর্বাদে টিকে থাকা হাসিনা সরকারের সময় বিএসএফের অন্যায্য কোনো কাজের বাধা দেয়া দূরে থাক, প্রতিবাদ করারও সুযোগ থাকত না। যখনই বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগ নিতে গেছে সবসময় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বিজিবিকে পিছু হটতে হয়েছে। এ সুযোগে সীমান্তে বহু এলাকায় বিএসএফ অবৈধ অবস্থান নিয়ে বসে। তারা বাংলাদেশের কৃষকদের জমিতে চাষাবাদে বাধা দিয়েছে। এতে বহু কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বছরের পর বছর। আবার দেখা গেছে, সীমান্ত নদীগুলো তারা আয়ত্তে নিয়েছে। বাংলাদেশের জেলেদের প্রবেশে বাধা দিয়ে রেখেছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এ ধরনের কিছু জায়গা আবার বাংলাদেশের দখলে এসেছে। বাংলাদেশের সাহসী নাগরিকরা সীমান্তে বিজিবির সাথে শামিল হয়েছে।
সম্প্রতি অবৈধ বেড়া নির্মাণের সময় বিজিবি ও জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে বিএসএফকে পিছু হটতে হয়েছে। আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, বিএসএফ অনেক সীমান্তে উসকানিমূলক কাজ একসাথে শুরু করেছে। তারা বেড়া নির্মাণের কাজ বন্ধ করলেও তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করেনি। এই সময়ে সীমান্তের বড় অংশজুড়ে একসাথে উত্তেজনা সৃষ্টি করা পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারত যেভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছে, সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টিও সেই ধরনের অপচেষ্টা হতে পারে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কেউ স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। তবে কোনো ধরনের উন্নয়নকাজ করতে হলে দু’পক্ষের সম্মতিতে হতে হবে। সম্প্রতি বেড়া নির্মাণের সময় তারা এ চুক্তির তোয়াক্কা করছে না। এ অবস্থায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ভারতকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগেও ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আপত্তি জানানো হয়। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। মিডিয়ায় প্রচারিত প্রণয় ভার্মার বক্তব্যে জানা যাচ্ছে, তিনি সীমান্ত চোরাচালান ও অপরাধ দমন বিষয়ে কথা বলছেন। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাকে ডাকা হয় অবৈধভাবে বেড়া নির্মাণ বিষয়ে।
ভারত তার নীতি পরিবর্তন করছে না। শক্তি প্রদর্শন করে চড়াও হওয়ার নীতিতে চলছে। বাংলাদেশকেও তার শক্ত অবস্থান দেখাতে হবে। আমরা বন্ধুত্ব চাই সমতার ভিত্তিতে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রামে আমান গ্রুপের শীতবস্ত্র বিতরণ সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার সময় জানাল সরকার কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে নিহত জামায়াতকর্মীর লাশ দু’দিন পর দাফন রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ইউক্রেন জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬ জন নিহত : ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গৌরনদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ফিল্ড ট্যুর নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নোবিপ্রবির ফিমস বিভাগের ২ শিক্ষক অপরাধ-বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত কর্মকর্তাদের ধরা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের আরো ৩৭ কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার শেষ মুহূর্তে বিক্ষোভের মুখে বাইডেন, ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে স্লোগান

সকল