১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
ভারতের সাথে সব চুক্তি প্রকাশ করুন

সম্পর্ক হোক সমতার ভিত্তিতে

-

বাংলাদেশকে ভারত অবনত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এর প্রতিফলন দেখা গেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার মাধ্যমে তারা চূড়ান্ত সফলতা পেয়েছে। এই সময় বাংলাদেশকে তারা একটি নতজানু রাষ্ট্র্র বানিয়ে নিয়েছিল। কেবল ক্ষমতায় রাখার শর্তে একচেটিয়া অনেক চুক্তি হাসিনার মাধ্যমে তারা চাপিয়ে দিয়েছে। এসব চুক্তির বেশির ভাগ গোপনে হয়েছে, মানুষ এ ব্যাপারে কিছু জানে না। এর নেতিবাচক প্রভাবে বাংলাদেশের বড় ধরনের স্বার্থহানি ঘটেছে। জুলাই বিপ্লবের বাস্তবতায় দাবি উঠেছে সব গোপন চুক্তি প্রকাশের। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন-কানুন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের প্রতি ভারত যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তা বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ারও জোরালো দাবি উত্থাপন হচ্ছে।
হাসিনার দুঃশাসনের সময়কালে বাংলাদেশের সড়কপথ, রেলপথ ও বন্দর ভারতকে উন্মুক্ত ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হয়। এই সময় দেশের সার্বভৌমত্ব¡ ও নিরাপত্তার কথা সামান্যতমও বিবেচনায় আনা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর তাদের হাতে তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়। ট্রানজিট করিডোরসহ সব ধরনের সুযোগ তাদের দিয়ে দেয়া হয়। এই দেশের রেল ও সড়কপথের উন্নয়ন ভারতের স্বার্থকে সামনে রেখে বাস্তবায়ন হয়। এগুলো করতে আবার ঋণের বোঝা দেশের মানুষের ওপর চাপানো হয়। দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে আদানির সাথে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি হয়। রামপালে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র শুধু ভারতকে খুশি করতে করা হয়। দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে ভারতীয় বিভিন্ন বাহিনীর অনুপ্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকে ভারত সফর শেষে হাসিনা বলেছিলেন, ভারতকে যা দিয়েছি তারা সেটি আজীবন মনে রাখবে। আর তারপর থেকে দেশবাসী দেখল বাংলাদেশ ভারতের একটি ‘ক্লায়েন্ট স্টেটে’ পরিণত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট স্টেট হচ্ছে এমন একটি রাষ্ট্র যা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রের অধীনস্থ হয়। হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক এই পর্যায়ে চলে গিয়েছিল।
এদিকে বাংলাদেশের সাথে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের প্রধান ইস্যু আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বাণিজ্যবৈষম্য দূর করার বিষয় পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে। নদীর উজানে নতুন নতুন বাঁধ দেয়ায় বাংলাদেশ মরুভূমি হতে বসেছে। সীমান্তের ভূমি জবরদখল, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের হত্যাও চলছে। শনিবার ঢাকায় একটি সেমিনার থেকে হাসিনার আমলে ভারতের সাথে করা সামরিক ও বেসামরিক চুক্তি প্রকাশের দাবি তোলা হয়েছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এসব দাবি জনসাধারণের পক্ষ থেকে আগেও উঠেছে। এসব দাবিতে এখনো সরকার সাড়া দেয়নি। এখনো ভারতের প্রতি সরকারের নমনীয়তার নীতি দেখা যাচ্ছে। এই নীতি দেশের জন্য শুভ নয়। ভারতের প্রতি আমাদের নতুন নীতি হবে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে। ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে, নমনীয় নীতি গ্রহণ করে আমরা শুধু একচেটিয়া বঞ্চনার শিকার হয়েছি। সরকারকে অচিরেই এই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানাশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা ‘চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈদেশিক সম্পর্কে নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ’ গাজায় এ পর্যন্ত ২০৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরাইল বারিতে শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ তারিক সিদ্দিক, টিউলিপ ও পুতুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের জামিন নামঞ্জুর, ৮ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট ছোটবেলার বন্ধুদের কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন মির্জা ফখরুল মাসিক ৩০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবে ঢাবি ছাত্রীরা সোনারগাঁও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীতে মিলল নিখোঁজ বৃদ্ধের লাশ

সকল