০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ৬ রজব ১৪৪৬
`
রাজধানীর দূষিত পরিবেশে অতিষ্ঠ মানুষ

কর্তৃপক্ষ উদাসীন

-

আর্থিক নয়, পরিবেশগত সমস্যায় জর্জরিত প্রাচীন নগরী ঢাকা। এ শহরের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট নোংরা। প্রস্রাবে রাস্তার কোনো কোনো অংশ এত নোংরা থাকে যে, সেখান দিয়ে দুর্গন্ধে হাঁটা দায়! ঢাকার রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার প্রবর্তন করা হয়েছিল। এখন নেই। তাই শ্রমজীবী মানুষসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ রাজধানীর রাস্তাঘাটে খোলা জায়গায় প্রস্রাব করেন। আর রাতে ভবঘুরে মানুষ রাস্তায় নিয়মিত প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেন। এ নিয়ে রয়েছে সচেতনতার অভাব। এই অশালীন কাণ্ড করার পরও জরিমানার বিধান নেই। সুতরাং যে যার মতো যেখানে-সেখানে প্রাকৃতিক কর্ম সারেন।
ফুটপাথে আরেক সমস্যা দোকানপাট। ফুটপাথ দখল করে গড়ে ওঠা দোকানে পথচারীরা ভালোভাবে হাঁটতেও পারেন না। এসব দোকানের কারণে রাস্তায় যানজটও লেগে থাকে। ফলে রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন সড়কগুলো কদর্য সড়কে পরিণত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ পথচারী সেতু ব্যবহার করেন। কিন্তু সেগুলো অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা থাকে। দখলে থাকে মাদককারবারি, ছিনতাইকারী ও হকারদেরও। রাতে অনিরাপদ হয়ে ওঠায় কোনো কোনো পথচারী সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে রীতিমতো ভয় পান। রাজধানীর এসব ওভারব্রিজ দেখাশোনার দায়িত্ব কাদের? তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন?
এই নগরের পরিবহন ব্যবস্থা বড় দুর্বল। লক্কড়ঝক্কড় বাসে যাত্রীদের চলাফেরা করা যে কতটা কষ্টদায়ক তা কেবল ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন। কোনো রকম ‘ফিটনেস’ ছাড়া বাসগুলো রাজধানীর রাস্তায় বছরের পর বছর চলছে। অথচ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এসব দেখার কথা থাকলেও সংস্থাটি নীরব দর্শক হয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। বাসগুলো ইচ্ছামতো চলাচল করাচ্ছে মালিকপক্ষ।
আরো একটি বিষয়- ড্রেনেজব্যবস্থা নাজুক থাকায় একটু বৃষ্টিতে ডুবে যায় ঢাকা। সড়ক মেরামতের নামে যখন-তখন খোঁড়াখুঁড়ি করায় রাজধানীবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। আসলে এটি এখন ঢাকাবাসীর নিয়তি হয়ে উঠেছে। এছাড়া রাজধানীর শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণের সমস্যা তো নিত্যদিনের। সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব অবহেলায় রাজধানীবাসী দুর্ভোগ পোহাবেন, এটি মেনে নেয়া যায় না। নগর পরিবহনের বেহাল দশায় প্রশ্ন জাগে, বিআরটিএর কাজটা কী! রাজধানীর উল্লিখিত সমস্যাগুলো দূর করতে সরকারের কঠোর তদারকি দরকার।
সরকারের তদারকির পাশাপাশি রাজধানীবাসীর মানসিক পরিবর্তন বড়ই প্রয়োজন। আমাদের জীবনে অর্থনৈতিক পরিবর্তন কিছুটা আসলেও মানসিক পরিবর্তন খুব কমই এসেছে। যে কারণে আমরা পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে নগরকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলেছি।
এক হিসাব মতে, ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার ভূমি নিয়ে ঢাকা মহানগর গঠিত। এখানে এখন দেশের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ বসবাস করেন, যার সংখ্যা দুই কোটির বেশি। আগামীতে জনজনংখ্যা যে আরো বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। তাই ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখা শুধু সরকারের একার নয়, নগরবাসীরও দায়িত্ব। প্রকৃত বাস্তবতায় সবাই সবার দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ঢাকা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে এটিই আমাদের প্রত্যাশা।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাকে একীভূত করার প্রস্তাব ট্রাম্পের চীন থেকে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস, জনমনে আতঙ্ক! জুলাই বিপ্লবে আহতদের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জে তৈমূরের ভাই সাব্বির হত্যা : খালাস পেলেন ছাত্রদল নেতা ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত আর কোনো ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না : শিবির সেক্রেটারি ট্রুডো কেন হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন? কে হতে যাচ্ছে তার উত্তরসূরি ফেলানী হত্যায় ভারত ও হাসিনা দায়ী : রাশেদ প্রধান গ্রীনল্যান্ড কেনার আগ্রহ ট্রাম্পের, সফরে যাচ্ছেন ছেলে চুয়াডাঙ্গার ডিসির ফোন নম্বর হ্যাক ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল চলাচল বন্ধ

সকল