দেখার অপেক্ষায় জাতি
- ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
২০২৫ সালের মধ্যে জুলাই গণহত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করার কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রাজধানীতে গত রোববার আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের সব বিচার সম্পন্ন করে আমরা আগামী বিজয় দিবস পালন করব। আমরা সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্ঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সবার বিচার প্রায় আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে।
আইন উপদেষ্টা ও চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে জুলাই গণহত্যার বিচারের সময়সীমা নিয়ে কথা বলায় কোনো কোনো মহল থেকে গণহত্যার বিচার প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তেমনটি মনে করি না। আমরা মনে করি, গণহত্যা বিচারের এরকম একটি সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় বিচার কাজে সংশ্লিষ্টরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যেমন যত্নশীল হবেন; তেমনি অধিক তৎপর হবেন। একই সাথে এর মধ্য দিয়ে বিচার পাওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশার সঞ্চার হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে এমন একসময় গণহত্যার বিচারের সময়সীমা নিয়ে কথা বলা হলো- যখন রাজনৈতিক দলগুলো সংসদ নির্বাচনের পথরেখার দাবিতে সোচ্চার। গণহত্যার বিচার নিয়ে তাদের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। যদিও গণ-অভ্যুত্থানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন।
বাস্তবতা হলো- জুলাইয় গণহত্যার বিচারে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হওয়া জরুরি। বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ঐক্য ছাড়া এ বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা কঠিন এবং দুরূহ হবে।
বিগত ১৫ বছরে দেশে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের সবচেয়ে বেশি জুলুমের শিকার হন বিরোধী দলগুলো বিশেষ করে জামায়াত- বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গণ-অভ্যুত্থানবিষয়ক সেলের তথ্যমতে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ৮৫৮ জন, আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৩৬ জন। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির তথ্যমতে, আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ১৫৮১ জন। আর আহত হয়েছেন ৩১ হাজারের মতো ছাত্র-জনতা।
যেহেতু জুলাই গণহত্যার বিচার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তেমন সোচ্চার নয় এবং অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া ছাত্রদেরও কোনো দল নেই সেহেতু বর্তমান সরকারকে এ বিচার করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ, এই সরকার হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের ফসল। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গণহত্যা বিচার শেষের অঙ্গীকার ন্যায়বিচার পেতে দেশবাসীর মনে আশার সঞ্চার করেছে। জনগণ বিশেষত জুলাইয়ের শহীদ পরিবারগুলোর স্বজনেরা অধির আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন কবে পাবেন তাদের আপনজন হত্যার ন্যায়বিচার।
সবার মতো আমরাও গণহত্যার বিচারে সরকারের দেয়া সময়সীমার অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। একই সাথে এ বিচারে রাজনৈতিক দলগুলো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে তা ফ্যাসিবাদবিরোধী সবার চাওয়া।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা