০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১, ৫ শাবান ১৪৪৬
`
খুলনা মেডিক্যালে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ

সরকারি চিকিৎসাসেবার নমুনা

-

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার ও পরিমাণে কম দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি হাসপাতালে অভিযান চালায়। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতালের এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। একটি সহযোগী দৈনিকের খুলনা প্রতিনিধির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
দুদকের খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ জানান, তারা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবার সরবরাহে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পান। এর ভিত্তিতে রান্নাঘরে দুপুরের খাবার যাচাই করা হয়। এক হাজার ৩৩৫ জনকে খাবার দেয়ার কথা থাকলেও রান্না করা মুরগির পিস পাওয়া যায় এক হাজার ৯৪টি। বাকি ২৪১ জনের খাবার কম ছিল। প্রতি পিস গোশতের ওজন হওয়ার কথা ৯৫ গ্রাম। কিন্তু মেপে দেখা যায়, ওজন চার ভাগের এক ভাগ। ভালো মানের চিকন চালের ভাত দেয়ার কথা থাকলেও রান্না করা ভাত ছিল মোটা চালের। দুদকের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, তারা রান্নাঘরে ঢোকার সময় দেখতে পান কিছু মালপত্র নিয়ে একজন পালিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো রোগীদের খাবার হিসেবে ছিল, কিন্তু তাদের না দিয়ে চুরি করা হচ্ছিল।

সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য যে খাবার সরবরাহ করা হয় তার নমুনা প্রতিদিন পরীক্ষা করার নিয়ম আছে। কিন্তু দেখা গেছে, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান যে দিন চালানো হয়; ওই দিন নমুনা হিসেবে যে খাবার পাঠানো হচ্ছিল, তার মান ভালো ছিল। আর রোগীদের যে খাবার দেয়া হচ্ছিল, তা নিম্নমানের ও পরিমাণে কম ছিল।
এ প্রসঙ্গে খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা: মোহাম্মদ মোহসীন আলী ফরাজি বলেন, অভিযানের পর খাবারের দায়িত্বে থাকা স্টুয়ার্ড হাবিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এ দিকে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে গণমাধ্যম কর্মীদের মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা খুমেক হাসপাতালে আউটসোসিং কর্মী নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন।

দেশের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলো সরকারি চিকিৎসাসেবার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। এখানে রোগীদের কম ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহ কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এ জন্য সরকারি কর্মচারীরা দায়ী। সরকারের নির্দিষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। এতে কম করা চলে না। কিছুতেই রোগীদের কম ও নিম্নমানের খাবার দেয়া যেতে পারে না। সরকারের যা বরাদ্দ তা যথাযথভাবে ব্যয় করাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব। এর ব্যত্যয় কোনোভাবে আইনসিদ্ধ নয়। যারা কম ব্যয় করেন তারা ব্যক্তিস্বার্থে দুর্নীতি ও আত্মসাতের পথ অবলম্বন করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ায় স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি : উপদেষ্টা ফরিদা সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফের সাক্ষাৎ ঘিওরে মাদরাসা শিক্ষিকার গলাকাটা লাশ উদ্ধার গোপালগঞ্জে পরিবারের আপত্তিতে শহীদ আরাফাতের লাশ উত্তোলন করা হয়নি শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে পৌঁছে দিলো মার্কিন উড়োজাহাজ সাবেক এমপি ফজলে করিমকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ শাহজাদপুরে নৌকা ডুবি, নিখোঁজ ১ সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি কেনার সুবিধা বাতিলের সুপারিশ অস্ত্রসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার মুকসুদপুর এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সকল