প্রকল্পে এত খরচ কেন
- ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙন পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে। ভাঙনে জেলার জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জের কয়েক হাজার পরিবার শুধু গৃহহীনই হয়নি, হাজার হাজার একর ফসলি জমিসহ কাঁচা-পাকা স্থাপনা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ভাঙনরোধে ২০১৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জে স্থায়ীভাবে পদ্মার তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মে মাসে জাজিরায় ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৬৭ কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যথাসময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন ভাঙনকবলিতরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গুণগত মান ঠিক রেখে কাজ শেষ করার কথা জানিয়েছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম সেন্টু বলেন, পদ্মার আগ্রাসনে জেলার সবচেয়ে বেশি জমি বিলীন হয়েছে জাজিরা উপজেলার। কিন্তু এখানেই সবার পরে স্থায়ী বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি, পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে আমাদের দুর্দশার কথা বিবেচনায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বাঁধের কাজ শেষ করার কার্যকর উদ্যোগ ও তদারকি করা হোক।
পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের বাদশাহ মাঝি বলেন, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই পদ্মার ভাঙনে কাঁচা-পাকা বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গাছপালা ও ফসলিজমি চোখের সামনে বিলীন হতে দেখেছি। বর্ষা এলেই আমাদের নির্ঘুম রাত কাটত। অনেকেই বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও সহায়-সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। জাজিরার বাঁধের কাজ শুরু হওয়ার পর আমরা আশায় বুক বেঁধেছি। কিন্তু কাজ শুরুর পরপরই দেশে বিরাট পরিবর্তন আসে, যা সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে আছে। যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁধ বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা ঝুঁকির মধ্যে থেকে যাবো।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, ২০২৪ সালের মে মাসে জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা জিরো পয়েন্ট থেকে পাথালিয়াকান্দি পর্যন্ত পদ্মার ভাঙন রোধে ৮৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৮.৬৭ কিলোমিটার রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করেছি। প্রকল্পের কাজ ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব। বাঁধটি বাস্তবায়ন শেষ হলে শুধু জাজিরা নয়, পুরো শরীয়তপুরের পদ্মা পাড়ের বিস্তীর্ণ জনপদ স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।
বর্তমানে প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি নিম্ন ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করায় ধারাবাহিকতায় কিছুটা বিঘœ ঘটছে। তার পরও আমরা ভাঙনকবলিতদের কথা মাথায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।
জাজিরা প্রকল্পে ব্যয় অধিক প্রতীয়মান হয়। সরকারি অর্থের অপচয় বন্ধ করা উচিত। ‘সরকারকা মাল দরিয়ামে ঢাল’- এ নীতি পরিহার করা দরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা