দূষণ ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
- ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের সরই এলাকায় দু’টি স্কুলের পাশে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন ইটভাটা। এতে ধোঁয়ায় দূষণ তো চলছেই, স্কুল ঘেঁষে বেপরোয়াভাবে চলা ট্রলির শব্দে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সরই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০ গজ মাটিভাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কয়েক মিনিট হাঁটা দূরত্বে ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে রিয়াজ ব্রিকস নামে একটি ভাটা।
নয়া দিগন্তের খবর অনুযায়ী, পরিবেশ আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নলছিটিতে অবৈধভাবে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ও ফসলি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে এমন কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা। এসব ইটভাটায় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। আইন অমান্য করে দিনের পর দিন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হলেও কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। আর নিবন্ধনবিহীন রিয়াজ ব্রিকস নামের ইটভাটায় মাটি সংগ্রহ ও বিক্রি করা ইট সরবরাহ করতে স্কুলের সড়কে বেপরোয়াভাবে বিকট শব্দে চলছে ট্রলি। দিনব্যাপী চলা এসব ট্রলির শব্দে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা।
সরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের পাশে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে অনেকের। স্কুলের সড়ক দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ট্রলি চলায় আতঙ্কে চলাচল করতে হয় বলে তারা অভিযোগ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালট্যান্ট ডা: ফয়সাল হাসান ভুঁইয়া জানান, ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ধুলাবালু শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করলে অ্যাজমা ও অ্যালার্জি হয়। ফলে ইটভাটার আশপাশে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যায়।
সরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, স্কুলের পাশে ইটভাটা স্থাপন ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারে সড়কে বেপরোয়া গতিতে ট্রলি চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। ইটভাটা মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তারা কিছুই করতে পারছেন না। তবু লিখিত আকারে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েছেন।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৯ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না- এমন আইন থাকলেও সেটি না মেনে ইটভাটা চালাচ্ছেন প্রভাবশালী ভাটার মালিক। স্কুল ঘেঁষে প্রতিষ্ঠা করেছেন রিয়াজ ব্রিকস নামে প্রতিষ্ঠানটি।
দূষণের ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা। তারা জাতির ভবিষ্যৎ। আজো আমরা তাদের জন্য দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি। সরকারের দায়িত্ব ধুলো, ধোঁয়া ও শব্দদূষণ থেকে মুক্ত করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা