প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন
- ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে প্রয়োজনীয় জনবল বিশেষ করে চিকিৎসক সঙ্কটে। সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, অর্থো-সার্জারি ও চক্ষুসহ ১০ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ১০০ শয্যার এ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ২০০ রোগীর জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১২ জন। রয়েছে নার্সসহ অন্যান্য জনবল সঙ্কট। ফলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালমুখী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে বাড়ছে তাদের চিকিৎসা ব্যয়।
নয়া দিগন্তের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এ সুযোগ নিচ্ছে হাসপাতালের আশপাশে গজিয়ে ওঠা অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক। হাসপাতাল এলাকায় ঘুরে বেড়ানো দালালদের মাধ্যমে রোগীদের বাগিয়ে নিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। ফলে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
১০০ শয্যার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দৈনিক গড়ে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। তাছাড়া আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন আরো ২০০ থেকে ৪০০ রোগী। অথচ জেলা সদরের এমন একটি হাসপাতাল চলছে তিনজন জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ ১২ জন চিকিৎসক দিয়ে। এখানে নেই কোনো সিনিয়র কনসালট্যান্ট। আছেন একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন করে জুনিয়র কনসালট্যান্ট পেডিয়াট্রিক্স, ইএনটি ও গাইনি। রয়েছেন একজন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও), চারজন মেডিক্যাল অফিসার ও জরুরি বিভাগে রয়েছেন তিনজন মেডিক্যাল অফিসার। এ ছাড়া রয়েছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট প্যাথলোজি একজন, প্যাথলোজিস্ট একজন এবং মেডিক্যাল অফিসার আয়ুর্বেদিক (উন্নয়ন) একজন।
সদর হাসপাতালে সিনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, মেডিসিন, গাইনি, চক্ষু ও অ্যানেসথেশিয়া, জুনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জারি, রেডিওলজিস্ট এবং প্যাথলোজিস্ট পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। অ্যানেসথেশিয়া ও সার্জারি কনসালট্যান্ট না থাকায় এ হাসপাতালে বর্তমানে কোনো জরুরি অপারেশন করানো হচ্ছে না। মেডিক্যাল অফিসারের দু’টি পদও খালি। এছাড়া নার্সিং সুপারভাইজারের একটি, সিনিয়র স্টাফ নার্স পাঁচটি, মিডওয়াইফ ছয়টি, সহকারী নার্স দু’টি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনটি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (রেডিও) দু’টি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) একটি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ফিজিও) একটি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ইসিজি) একটি, কার্ডিওগ্রাফার দু’টি, ডার্করুম সহকারীর একটি পদ খালি রয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুস সালাম বলেন, শূন্য পদে ১০ চিকিৎসক, চারজন নার্স এবং অন্যান্য শূন্য পদে জনবল চেয়ে একাধিকবার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের দফতরে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মিত শতাধিক ভর্তি রোগীসহ বহির্বিভাগে বহু সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক স্বল্পতায় তাদের কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হয় না।
সাতক্ষীরার এ চিত্র সারা দেশেই। সব জায়গায় সঙ্কট। এ জন্য সরকারের উদাসীনতা দায়ী। কারণ এটি সরকারের দায়িত্বের মধ্যে। সরকার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে না কেন? সবার জন্য শিক্ষা এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু অবস্থার উন্নতি নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা