জরুরিভিত্তিতে চালু করুন
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কারখানা)। গ্যাস সঙ্কটে এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন এই সার কারখানা। দীর্ঘ দিন কারখানাটি বন্ধ থাকায় দেশে সারের চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে নিম্নমানের ইউরিয়া। একই সাথে এক বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ কারখানার সাথে সংশ্লিষ্ট তিন হাজার শ্রমজীবী কর্মহীন হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নয়া দিগন্তে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যমুনা সার কারখানায় শুরুতে ২৪ ঘণ্টায় ১৭০০ টন উৎপাদন হলেও গ্যাসের চাপ হ্রাস এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমতে কমতে ১৩০০ টনে নেমে এসেছে। ২০২৩ সালের ২১ জুন গ্যাস সঙ্কটের অজুহাতে বন্ধ করা হয় কারখানাটির উৎপাদন। ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ফের উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারিতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন।
যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত ইউরিয়া সার জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীসহ মোট ২১টি জেলার কৃষকদের চাহিদা পূরণ করে। প্রায় আড়াই হাজার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান (ডিলার) কৃষক-পর্যায়ে সার সরবরাহ করে থাকে। দুশ্চিন্তার কারণ হলো- দ্রুত সময়ে যমুনা ফার্টিলাইজার চালু না হলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সার সঙ্কটে ধান উৎপাদন বিঘিœত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
১৯৯১ সালে ২৪ ঘণ্টায় ১৭০০ টন দানাদার ইউরিয়া উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন যমুনা ফার্টিলাইজারের যাত্রা হয়। বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন কেপিআই-১ মানসম্পন্ন যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি ঘিরে সরিষাবাড়ীর যমুনার চর তারাকান্দি হয়ে উঠেছে মনোরম একটি শহর। রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ বদলে গেছে সেখানকার মানুষের জীবনমান।
একটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের তানাজি এস পন্দেকারের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল যমুনা সার কারখানা পরিদর্শনে আসে। কারখানার অ্যামোনিয়া প্লান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার বিভাগে পরিদর্শনকালে বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান তানাজি এস পন্দেকার এনজি বুস্টারের ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যামোনিয়া প্লান্টসহ কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কারখানার নিজস্ব প্রকৌশলীদের দীর্ঘ চেষ্টায় চালু করা সম্ভব হলেও ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারিতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় যমুনা ফার্টিলাজারের উৎপাদন।
কারখানাটির গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় গ্যাসলাইন সংযোগ ।
ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানের সার সঙ্কটের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোথাও সার সঙ্কটের কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে এর উচ্চমূল্য নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায়, এমন একটি সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে না। সরকার বন্ধ থাকা অনেক কারখানা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়, যমুনা সার কারখানাও চালু করে এর উৎপাদন শুরু করা হবে; এই চাওয়া খুব বেশি বড় নয় নিশ্চয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা