১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বগুড়ার শেরপুরে পাঁচ শতাধিক মুরগির খামার বন্ধ

প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের প্রতি নজর দিন

-

দেশে পোলট্রি শিল্পের বাজার অনেক বড়। নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত। শিক্ষিত বেকার যুবকদের অনেকেই এখন হাঁস-মুরগির খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফলে এই শিল্পকে অবহেলার সুযোগ নেই। বিশেষ করে এ খাতের প্রান্তিক খামারিদের।
অন্যান্য উপজেলার মতো বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়ও অনেক মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এসব খামার গড়ে তুলেছেন। কিন্তু উৎপাদন মূল্যের সাথে বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান বেশি থাকায় খামারিরা লোকসানে পড়েছেন। অনেকে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
দৈনিক নয়া দিগন্তে প্রকাশিত শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামারের বিভিন্ন উপকরণ ও খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। বিপরীতে উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছেন না খামারিরা। ফলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন পোলট্রির উদ্যোক্তারা। শেরপুরে পাঁচ শতাধিক দেশী, লেয়ার, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির খামার বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি না পেয়ে এসব খামার গড়ে তুলেছিলেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে শেরপুর উপজেলায় লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে ৩০টি, ব্রয়লার ৫৬৫টি, সোনালি ৮১৩টি ও হাঁসের খামার রয়েছে ৪৭১টি। চার শতাধিক দেশী মুরগির খামার বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্রয়লার মুরগির খামারি মাসুদুর রহমান জানান, তার খামার করতে ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়। খামারে সাত হাজার মুরগি পালন করা যেত। তিন বছর আগে যখন খামারে মুরগি পালন শুরু করেন তখন মোটামুটি লাভ হতো। কিন্তু এখন কোনো অবস্থাতেই পুঁজি ফেরত আসে না। কারণ, মুরগির বাচ্চার দাম বেশি, খাদ্যের দামসহ সব উপকরণের দাম বেশি হলেও মুরগির দাম নেই। ফলে মোটা অঙ্কের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই খামার বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
গত সেপ্টেম্বর মাসে পাইকারি-খুচরা পর্যায়ে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু তারপরই বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) বলেছে, সরকারের বেঁধে দেয়া ডিম ও মুরগির দামে সারা দেশের প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উৎপাদন ব্যয় না কমিয়ে উল্টো বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ডিম ও মুরগি উৎপাদনে খরচ বেশি হলেও লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এই দাম নির্ধারণে প্রান্তিক খামারিদের মতামত নেয়া হয়নি। সরকার দেশের করপোরেট গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে ডিম ও মুরগির দাম বাড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করে বিপিএ।
বাজারদর নির্ধারণে বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যে প্রভাব বিস্তার করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এসব করপোরেট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যদি প্রান্তিক উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে তা হবে সবার জন্যই ক্ষতির কারণ। মুরগির বাজারদর নির্ধারণ ও উৎপাদন ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। প্রান্তিক খামারিরা যেন ক্ষতির শিকার না হন সেটি মাথায় রেখেই বাজারদর নির্ধারিত হওয়া উচিত। তবে, মুরগির উৎপাদন ব্যয় যেন সর্বনি¤œ পর্যায়ে রাখা যায় সেই দিকটি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখতে হবে। তাহলে উৎপাদক ও ভোক্তা সবাই উপকৃত হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ ক্যালিফোর্নিয়ায় গরুর দুধে বার্ড ফ্লু, জরুরি অবস্থা জারি ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১০০ সৈন্য নিহত : দক্ষিণ কোরিয়ার কাঁঠালিয়ায় এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার লাউয়াছড়ায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু বেরোবিতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাতের হানা, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ ধুনটে নিখোঁজের ৩ দিন পর গৃহবধূর লাশ নদী থেকে উদ্ধার ‘গোষ্ঠী বিশেষ পরিকল্পিতভাবে বস্তিবাসীর ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে’ আ’লীগকে নির্বাচনে আসতে বাধা সৃষ্টির কিছু দেখছি না : বদিউল আলম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনায় রাষ্ট্রযন্ত্রের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি

সকল