১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
লৌহজংয়ে আলু চাষ নিয়ে শঙ্কা

চাষির দুশ্চিন্তা দূর করুন

-

যত্রতত্র মাটি ভরাটে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার অনেক ফসলি জমি এখন জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেও এখনো বিস্তীর্ণ আবাদি জমি পানির নিচে। পাঁচ থেকে ১০ বছর আগে যে জমিতে আলু আবাদ করা হতো সেখানে এখন হাঁটুপানি। আলু আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপজেলার হাজারো কৃষক। নয়া দিগন্তের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুই বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা আলু চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আলু আবাদ শুরু হয়েছে। এখন আলু আবাদের ভর মৌসুম চললেও লৌহজং উপজেলার বেশির ভাগ জমিতে পানি জমে রয়েছে। লৌহজং কৃষি অফিসের বরাতে নয়া দিগন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ উপজেলায় মোট কৃষি জমি আট হাজার ৮০০ হেক্টর। চলতি বছর তিন হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২০-২৫ হেক্টর জমিতে আলুবীজ বপন করা হয়েছে।
অপরিকল্পিতভাবে ভরাট বাণিজ্যে বৃষ্টির পানি আটকে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে কৃষিজমি। খাল ও নালা ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলায় উপজেলার প্রায় ছয় হাজার হেক্টর কৃষিজমি পানির নিচে। বছরের ছয় থেকে ৯ মাস পানি জমে থাকায় তিন ফসলি জমি হওয়া সত্ত্বেও কৃষকরা বছরে মাত্র একবার ধান উৎপাদন করতে পারছেন। জলাবদ্ধতায় বেশ কিছু জমি একেবারে অনাবাদি হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় উপজেলার খেদেরপাড়া, খলাপাড়া, কাজিরগাঁও, খিদিরপাড়া, বনসামন্ত, খোলতলি, ঢোলুগাঁও, জোড়পুল, মৌছা মান্দ্রা, কলারবাগ, ধারার হাট, গাঁওদিয়া, বেজগাঁও, কনকসারসহ, নয়াবাড়ি, ভোগদিয়া, পালগাঁও এলাকায় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখনো তলিয়ে রয়েছে।
খোলতলি গ্রামের মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, পাঁচ বছর আগেও আমাদের জমিতে আলু হয়েছে। আগে দুই ফসল হতো। আগে এ সময় আলু আবাদ করতাম। এখন জমিতে হাঁটুপানি। খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। যার জন্য আলু আবাদ করা যাচ্ছে না। এখন ইরি ধান লাগাব। একই গ্রামের সোহেল খান বলেন, আমাদের গ্রাম থেকে পয়সাগাঁও হয়ে বালিগাঁও খাল পর্যন্ত খাল কেটে দিলে আমরা ঠিকমতো আলু চাষ করতে পারি।
বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতা বেড়ে চলায় এ এলাকার প্রান্তিক চাষিরা খুব চিন্তিত। মৌসুম শুরু হলেও বর্ষার পানি না নামায় সময়মতো আলুসহ রবি ফসলের আবাদ করতে পারছেন না কৃষক। ফলে এ বছর বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
আমাদের কথা হলো, ফসলের জমিতে বৃষ্টির পানি আটকে থাকবে কেন? পানি দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করে লৌহজং উপজেলায় আলুচাষিদের আলু আবাদ নিয়ে শঙ্কা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের।


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১০০ সৈন্য নিহত : দক্ষিণ কোরিয়ার কাঁঠালিয়ায় এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার লাউয়াছড়ায় সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু বেরোবিতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাতের হানা, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ ধুনটে নিখোঁজের ৩ দিন পর গৃহবধূর লাশ নদী থেকে উদ্ধার ‘গোষ্ঠী বিশেষ পরিকল্পিতভাবে বস্তিবাসীর ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে’ আ’লীগকে নির্বাচনে আসতে বাধা সৃষ্টির কিছু দেখছি না : বদিউল আলম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনায় রাষ্ট্রযন্ত্রের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবি নির্বাচন কমিশনে দুদকের অভিযান চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের যুব সম্মেলন শনিবার

সকল