১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংস্কার

দলীয় ব্যবস্থার বিলোপ জরুরি

-


জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারবিষয়ক কমিশন। সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন নির্দলীয় ভিত্তিতে করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, জনপ্রতিনিধিরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার প্রস্তাব দেন। মতবিনিময়ে অংশ নেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা।

মতবিনিময় সভায় তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা এবং এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় মাস করা, নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের বদলে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা করার প্রস্তাব করেন। গত রোববার মতবিনিময় সভাশেষে কমিশনের প্রধান জানান, জনপ্রতিনিধিদের সবাই স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন। তারা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার ওপর জোর দেন।

প্রস্তাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৫ বছর ধরে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। সেগুলো হয়ে উঠেছিল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের মতো। সংসদ সদস্যদের অবৈধ হস্তক্ষেপ, প্রভাব বিস্তারের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানো তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এভাবে পুরো স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। সেগুলো লুটপাট ও অবৈধ নানা কর্মকাণ্ডের আখড়ায় পরিণত হয়।
২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের আইন করে। সে সময় বিশেষজ্ঞদের অনেকে এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু সব ভিন্নমত সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে সেই আইন পাস করা হয়। পরের প্রতিটি প্রহসনমূলক নির্বাচনে প্রায় সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। অথচ স্থানীয় সরকারের মূল ধারণা ছিল- স্থানীয় পর্যায়ে সম্মানীয়, গ্রহণযোগ্য নির্দলীয় ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে যেন দায়িত্বে আসতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা। শত বছরের বেশি সময় ধরে এই ধারাই চলে আসছিল। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী কায়দায় সেই ঐতিহ্য জলাঞ্জলি দিয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কারণ নির্বাচিতরা দলীয় এজেন্ডার বাইরে কিছুই করেননি।

এ প্রেক্ষাপটে বর্তমান সংস্কার কমিশনে জনপ্রতিনিধিরা যে মত দিয়েছেন তা গুরুত্ববহ। স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন নির্দলীয় ভিত্তিতে হতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা কার্যকর ও শক্তিশালী করা জরুরি। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সংসদ সদস্যদের খবরদারির অবসান ও নির্দলীয় সম্মানী ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন; এমন ব্যবস্থা করতে হবে। তা হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে সত্যিকারের ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এর বাইরে অন্য যেসব প্রস্তাব এসেছে সেগুলোর বেশির ভাগ সার্বিক সংস্কার কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পর্কিত। যেমন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আরো অর্থবহ করা, এগুলো সার্বিক সংস্কারের এজেন্ডায় বিবেচনা করা যেতে পারে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল